ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা

সৈয়দপুরে ১০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ, লোকসানে কৃষক

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে মিলছে মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে। আর কৃষক বিক্রি করছেন মাত্র ৬/৭ টাকা কেজি দরে। এতে করে মরিচ চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। যে মরিচ সপ্তাহখানেক আগেও ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে তা হঠাৎ করে দাম পড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পরিচর্যা আর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে ভালো দাম না পেয়ে হতাশ মরিচ চাষিরা। কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হলেও দাম না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মরিচ চাষিরা। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রায় ৪০/৫০ ছুঁই ছুঁই। এখন সেই কাঁচা মরিচের দাম নেমেছে ৬ থেকে ৭ টাকায়।

উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের মরিচ চাষি জোবায়ের রহমান জানান, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের বর্তমান পাইকারি বাজার দর ৬ থেকে ৭ টাকা। অথচ ক্ষেত থেকে মরিচ ওঠাতে প্রতি কেজিতে শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকা। আর সেই মরিচ বাজারজাত করতে কেজি প্রতি গুণতে হয় আরো ২ টাকা থেকে ৩ টাকা। এ হিসেবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পাওয়া তো দুরের কথা বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

এদিকে কাঁচা মরিচের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ বৃদ্ধি ও চাহিদা কম থাকায় মরিচের দাম কমেছে। অন্যদিকে আবার দাম কমায় স্বস্তির নিঃশ্বাস কাঁচা মরিচ ক্রেতাদের। সৈয়দপুরের পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি মরিচ ৬/৭ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করতে দেখা যায়। তুলনামূলকভাবে তরিতরকারির দামও অনেক কমেছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষে তাদের খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ মণ মরিচ পান। কিন্ত এবার বাজার কম। তবে, বাম্পার ফলন হলেও কৃষকরা আশানুরুপ মূল্য পাচ্ছে না।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি

সৈয়দপুরে ১০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ, লোকসানে কৃষক

Update Time : ০৩:৫৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে মিলছে মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে। আর কৃষক বিক্রি করছেন মাত্র ৬/৭ টাকা কেজি দরে। এতে করে মরিচ চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। যে মরিচ সপ্তাহখানেক আগেও ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে তা হঠাৎ করে দাম পড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পরিচর্যা আর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে ভালো দাম না পেয়ে হতাশ মরিচ চাষিরা। কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হলেও দাম না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মরিচ চাষিরা। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রায় ৪০/৫০ ছুঁই ছুঁই। এখন সেই কাঁচা মরিচের দাম নেমেছে ৬ থেকে ৭ টাকায়।

উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের মরিচ চাষি জোবায়ের রহমান জানান, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের বর্তমান পাইকারি বাজার দর ৬ থেকে ৭ টাকা। অথচ ক্ষেত থেকে মরিচ ওঠাতে প্রতি কেজিতে শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকা। আর সেই মরিচ বাজারজাত করতে কেজি প্রতি গুণতে হয় আরো ২ টাকা থেকে ৩ টাকা। এ হিসেবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পাওয়া তো দুরের কথা বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

এদিকে কাঁচা মরিচের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ বৃদ্ধি ও চাহিদা কম থাকায় মরিচের দাম কমেছে। অন্যদিকে আবার দাম কমায় স্বস্তির নিঃশ্বাস কাঁচা মরিচ ক্রেতাদের। সৈয়দপুরের পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি মরিচ ৬/৭ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করতে দেখা যায়। তুলনামূলকভাবে তরিতরকারির দামও অনেক কমেছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষে তাদের খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ মণ মরিচ পান। কিন্ত এবার বাজার কম। তবে, বাম্পার ফলন হলেও কৃষকরা আশানুরুপ মূল্য পাচ্ছে না।