প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১১, ২০২৫, ১:২৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২০, ২০২৫, ৩:৫৮ পি.এম
সৈয়দপুরে ১০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ, লোকসানে কৃষক

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে মিলছে মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে। আর কৃষক বিক্রি করছেন মাত্র ৬/৭ টাকা কেজি দরে। এতে করে মরিচ চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। যে মরিচ সপ্তাহখানেক আগেও ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে তা হঠাৎ করে দাম পড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পরিচর্যা আর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে ভালো দাম না পেয়ে হতাশ মরিচ চাষিরা। কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হলেও দাম না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মরিচ চাষিরা। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রায় ৪০/৫০ ছুঁই ছুঁই। এখন সেই কাঁচা মরিচের দাম নেমেছে ৬ থেকে ৭ টাকায়।
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের মরিচ চাষি জোবায়ের রহমান জানান, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের বর্তমান পাইকারি বাজার দর ৬ থেকে ৭ টাকা। অথচ ক্ষেত থেকে মরিচ ওঠাতে প্রতি কেজিতে শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকা। আর সেই মরিচ বাজারজাত করতে কেজি প্রতি গুণতে হয় আরো ২ টাকা থেকে ৩ টাকা। এ হিসেবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পাওয়া তো দুরের কথা বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এদিকে কাঁচা মরিচের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ বৃদ্ধি ও চাহিদা কম থাকায় মরিচের দাম কমেছে। অন্যদিকে আবার দাম কমায় স্বস্তির নিঃশ্বাস কাঁচা মরিচ ক্রেতাদের। সৈয়দপুরের পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি মরিচ ৬/৭ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করতে দেখা যায়। তুলনামূলকভাবে তরিতরকারির দামও অনেক কমেছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষে তাদের খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ মণ মরিচ পান। কিন্ত এবার বাজার কম। তবে, বাম্পার ফলন হলেও কৃষকরা আশানুরুপ মূল্য পাচ্ছে না।
Copyright © 2025 দৈনিক বার্তা. All rights reserved.