ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের ‘বড় প্রমাণ’ পেলেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে এক দৈত্যাকার গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের বাইরের প্রাণের সন্ধানে এটি একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি বলে বিবেচিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমসসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়া এই গ্রহের নাম রাখা হয়েছে কে ২-১৮ বি। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে এমন দুটি রাসায়নিক গ্যাসের চিহ্ন পেয়েছেন, যেগুলো পৃথিবীতে কেবল জীবপ্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তৈরি হয়।

গ্যাস দুটি হচ্ছে ডাইমিথাইল সালফাইড (ডিএমএস) ও ডাইমিথাইল ডিজালফাইড (ডিএমডিএস)। পৃথিবীতে মূলত সামুদ্রিক ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের মতো শৈবালজাতীয় অণুজীব এসব গ্যাস তৈরি করে। এসব গ্যাসের অস্তিত্বের জন্য ধারণা করা হচ্ছে, গ্রহটিতে বিপুল পরিমাণে অণুজীব থাকতে পারে।

তবে বিজ্ঞানীরা জোরালোভাবে বলছেন, প্রকৃত জীবন্ত প্রাণীর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, এমন ঘোষণা দেওয়া ঠিক হবে না। বরং একে জীবপ্রক্রিয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখতে হবে।

এই আবিষ্কারে নেতৃত্ব দেওয়া ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিকু মধুসূদন গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ এটি। তবে আমরা সতর্ক থাকছি। নিজেদের প্রশ্ন করে যাচ্ছি—এই সংকেত কি আসলেই বাস্তব? বাস্তব হলে এটি আসলে কী বোঝায়?’

কে ২- ১৮ বি গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে ৮ দশমিক ৬ গুণ বড়। পৃথিবীর চেয়ে এর ব্যাসার্ধ ২ দশমিক ৬ গুণ বড়। সূর্যের চেয়ে আকারে ছোট, এমন এক লাল বামন তারার চারপাশে ঘুরছে গ্রহটি। কক্ষপথের ‘বাসযোগ্য অঞ্চলে’ ঘুরছে গ্রহটি। অর্থাৎ, গ্রহ থেকে দূরত্বের হিসেবে এখানে তরল পানির অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা আছে। প্রাণের অস্তিত্বের জন্য পানিকে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে দেখা হয়।

গ্রহটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে লিও নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থান করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের ‘বড় প্রমাণ’ পেলেন বিজ্ঞানীরা

Update Time : ০৮:০৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে এক দৈত্যাকার গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের বাইরের প্রাণের সন্ধানে এটি একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি বলে বিবেচিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমসসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়া এই গ্রহের নাম রাখা হয়েছে কে ২-১৮ বি। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে এমন দুটি রাসায়নিক গ্যাসের চিহ্ন পেয়েছেন, যেগুলো পৃথিবীতে কেবল জীবপ্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তৈরি হয়।

গ্যাস দুটি হচ্ছে ডাইমিথাইল সালফাইড (ডিএমএস) ও ডাইমিথাইল ডিজালফাইড (ডিএমডিএস)। পৃথিবীতে মূলত সামুদ্রিক ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের মতো শৈবালজাতীয় অণুজীব এসব গ্যাস তৈরি করে। এসব গ্যাসের অস্তিত্বের জন্য ধারণা করা হচ্ছে, গ্রহটিতে বিপুল পরিমাণে অণুজীব থাকতে পারে।

তবে বিজ্ঞানীরা জোরালোভাবে বলছেন, প্রকৃত জীবন্ত প্রাণীর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, এমন ঘোষণা দেওয়া ঠিক হবে না। বরং একে জীবপ্রক্রিয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখতে হবে।

এই আবিষ্কারে নেতৃত্ব দেওয়া ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিকু মধুসূদন গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ এটি। তবে আমরা সতর্ক থাকছি। নিজেদের প্রশ্ন করে যাচ্ছি—এই সংকেত কি আসলেই বাস্তব? বাস্তব হলে এটি আসলে কী বোঝায়?’

কে ২- ১৮ বি গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে ৮ দশমিক ৬ গুণ বড়। পৃথিবীর চেয়ে এর ব্যাসার্ধ ২ দশমিক ৬ গুণ বড়। সূর্যের চেয়ে আকারে ছোট, এমন এক লাল বামন তারার চারপাশে ঘুরছে গ্রহটি। কক্ষপথের ‘বাসযোগ্য অঞ্চলে’ ঘুরছে গ্রহটি। অর্থাৎ, গ্রহ থেকে দূরত্বের হিসেবে এখানে তরল পানির অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা আছে। প্রাণের অস্তিত্বের জন্য পানিকে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে দেখা হয়।

গ্রহটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে লিও নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থান করছে।