ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত

পাবনা সেচ প্রকল্পের ইছামতি নদী থেকে বাঁশ ও জালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ শুরু

ইছামতি নদী পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান সেচ খাল (আই-৩ খাল) । এই নদীর মাধপুর থেকে বেড়া পাম্পিং ষ্টেশন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এলাকার ২৯ পয়েন্টে স্থাপিত বাঁশ ও জালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ শুরু করেছে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে সাঁথিয়া উপজেলার পৌর সদরের বোয়ালমারি ব্রিজ থেকে বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করা হয়। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না এ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় সাঁথিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামসুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন নদী লীজ নিয়ে বাঁশ ও জালের অবৈধ বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করা হতো। এতে বদ্ধ পানিতে কচুরিপানা জমে পানি নষ্ট হতো, মশা ও মাছি বংশ বৃদ্ধি পেতো। পরিস্কার পানি থেকেও বঞ্চিত হয়েছে এলাকার জনগণ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না জানান, বিগত সময়ে ইছামতি নদীর বিভিন্ন অংশ লীজ দেয়া হতো।
চলতি বছর জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে নদীটির কোন অংশই লীজ প্রদান করা হয়নি। পাবনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নদী থেকে বাঁশ ও জালের সকল অস্থায়ী বাঁধ অপসারণ করা হচ্ছে। এতে করে নদী পারের জনসাধারণ নিজেরা মাছ শিকার ও বিশুদ্ধ পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবে।
জানা যায়, বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং তৎকালীন জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন ইছামতী নদী লিজ প্রদান করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নযন প্রকল্পের আওতাধীন প্রধান সেচ খাল হিসেবে পরিচিত ইছামতী নদী লিজ প্রদান না করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ পাবনা জেলা প্রশাসন বরাবর চিঠি প্রদান করে সেচ প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কথায় কর্ণপাত না করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইছামতী নদী লিজ প্রদান করে।
এদিকে জনসাধারণের আবেদন অগ্রাহ্য করে নামমাত্র ৭০ হাজার টাকা নিলাম নির্ধারণ করে লিজ প্রদান করে। এরপর উক্ত লিজ কৃত ইছামতী নদী সাব লিজ দেওয়া হয়। এই অপকর্মের মূল হোতা ছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পীকার এ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপি, তার ছেলে আশিফ সামস রঞ্জন ও সাঁথিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু।
প্রায় ৪২ কিলোমিটার ইছামতি নদী চারভাগে লিজ নেয়ার পরে ২৮টি ভাগে বিভক্ত করে প্রতি অংশ তিন লাখ থেকে চার লাখ টাকায় সাব লিজ প্রদান করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করা হয বলে অভিযোগ উঠেছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার

পাবনা সেচ প্রকল্পের ইছামতি নদী থেকে বাঁশ ও জালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ শুরু

Update Time : ০১:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইছামতি নদী পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান সেচ খাল (আই-৩ খাল) । এই নদীর মাধপুর থেকে বেড়া পাম্পিং ষ্টেশন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এলাকার ২৯ পয়েন্টে স্থাপিত বাঁশ ও জালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ শুরু করেছে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে সাঁথিয়া উপজেলার পৌর সদরের বোয়ালমারি ব্রিজ থেকে বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করা হয়। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না এ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় সাঁথিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামসুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন নদী লীজ নিয়ে বাঁশ ও জালের অবৈধ বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করা হতো। এতে বদ্ধ পানিতে কচুরিপানা জমে পানি নষ্ট হতো, মশা ও মাছি বংশ বৃদ্ধি পেতো। পরিস্কার পানি থেকেও বঞ্চিত হয়েছে এলাকার জনগণ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না জানান, বিগত সময়ে ইছামতি নদীর বিভিন্ন অংশ লীজ দেয়া হতো।
চলতি বছর জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে নদীটির কোন অংশই লীজ প্রদান করা হয়নি। পাবনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নদী থেকে বাঁশ ও জালের সকল অস্থায়ী বাঁধ অপসারণ করা হচ্ছে। এতে করে নদী পারের জনসাধারণ নিজেরা মাছ শিকার ও বিশুদ্ধ পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবে।
জানা যায়, বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং তৎকালীন জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন ইছামতী নদী লিজ প্রদান করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নযন প্রকল্পের আওতাধীন প্রধান সেচ খাল হিসেবে পরিচিত ইছামতী নদী লিজ প্রদান না করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ পাবনা জেলা প্রশাসন বরাবর চিঠি প্রদান করে সেচ প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কথায় কর্ণপাত না করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইছামতী নদী লিজ প্রদান করে।
এদিকে জনসাধারণের আবেদন অগ্রাহ্য করে নামমাত্র ৭০ হাজার টাকা নিলাম নির্ধারণ করে লিজ প্রদান করে। এরপর উক্ত লিজ কৃত ইছামতী নদী সাব লিজ দেওয়া হয়। এই অপকর্মের মূল হোতা ছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পীকার এ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপি, তার ছেলে আশিফ সামস রঞ্জন ও সাঁথিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু।
প্রায় ৪২ কিলোমিটার ইছামতি নদী চারভাগে লিজ নেয়ার পরে ২৮টি ভাগে বিভক্ত করে প্রতি অংশ তিন লাখ থেকে চার লাখ টাকায় সাব লিজ প্রদান করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করা হয বলে অভিযোগ উঠেছে।