ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা

সাঁথিয়ায় পিওর লাইভ ফুড বেকারি এন্ড পেস্ট্রি দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

পাবনার সাঁথিয়া সিএন্ডবি চত্বরে অবস্থিত পিওর লাইভ ফুড বেকারি এন্ড পেস্ট্রি দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমান করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার ০৯ অক্টোবর) সকালে সিএন্ডবি চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট রিজু তামান্না মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দোকানটিতে বিএসটিআই লাইসেন্স না থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় সাঁথিয়া থানার পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত ছিলেন।

এই পিওর লাইভ ফুড বেকারি এন্ড পেস্ট্রি দোকানটির নামে আরো অভিযোগ রয়েছে। তারা যেই খাবার গুলো বিক্রি করে অধিকাংশ খাবারের মান খুবই নিম্ন মানের। যা খেয়ে বাচ্চা থেকে বড় বেশির ভাগ বাচ্চারাই অসুস্থ হয়ে পরে।

এদিকে ভুক্তভোগী পলাশ হোসেন জানায় আমি আমার পরিবারের জন্য এই দোকান থেকে পেস্ট্রি কেক কিনে বাসায় গিয়ে বাচ্চাদের খেতে দেই। খাওয়ার ১/২ ঘন্টা পর আমার ৩ বাচ্চাই অসুস্থ হয়ে পরে। বমির সাথে পাতলা পায়খানা করতে থাকে। বাচ্চাদের অবস্থা বেগতিক দেখে আমি দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করি। সেখানকার কর্তব্য চিকিৎসক জানাই বাচ্চাদের ফুড পয়োজন হয়েছে। আমি পরের দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটা অভিযোগ দায়ের করি। আর আমি মনে করি এই ধরনের দোকানগুলো দ্রুত বন্ধ করে দেয়া হোক, যাতে করে আমার বাচ্চাদের মত আর কেউ অসুস্থ না হয়।

অপরদিকে আরও এক ভুক্তভোগী সাংবাদিক সরকার আরিফ জানান, আমি এই দোকান থেকে আমার বাচ্চাদের জন্য সমুচা কিনে নিয়ে যাই। বাচ্চারা সেগুলো খেয়ে দেড় দু’ঘণ্টার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বমি আর পাতলা পায়খানা করতে থাকে। মধ্যরাতে আমি কি করব সেটা ভেবে পাচ্ছিলাম না। জরুরী অবস্থায় বাচ্চাদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করি। সারারাত চিকিৎসা চলে। কি সমস্যা হয়েছে সেটা কর্তব্য চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ফুড পয়জন হয়েছে। আমার কথা হলো খাবার যদি স্বাস্থ্যসম্মত উপায় না বানায় তাহলে এরকম দোকান গুলো প্রশাসনের সিলগালা করে দেওয়া উচিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি

সাঁথিয়ায় পিওর লাইভ ফুড বেকারি এন্ড পেস্ট্রি দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

Update Time : ০১:২৬:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

পাবনার সাঁথিয়া সিএন্ডবি চত্বরে অবস্থিত পিওর লাইভ ফুড বেকারি এন্ড পেস্ট্রি দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমান করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার ০৯ অক্টোবর) সকালে সিএন্ডবি চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট রিজু তামান্না মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দোকানটিতে বিএসটিআই লাইসেন্স না থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় সাঁথিয়া থানার পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত ছিলেন।

এই পিওর লাইভ ফুড বেকারি এন্ড পেস্ট্রি দোকানটির নামে আরো অভিযোগ রয়েছে। তারা যেই খাবার গুলো বিক্রি করে অধিকাংশ খাবারের মান খুবই নিম্ন মানের। যা খেয়ে বাচ্চা থেকে বড় বেশির ভাগ বাচ্চারাই অসুস্থ হয়ে পরে।

এদিকে ভুক্তভোগী পলাশ হোসেন জানায় আমি আমার পরিবারের জন্য এই দোকান থেকে পেস্ট্রি কেক কিনে বাসায় গিয়ে বাচ্চাদের খেতে দেই। খাওয়ার ১/২ ঘন্টা পর আমার ৩ বাচ্চাই অসুস্থ হয়ে পরে। বমির সাথে পাতলা পায়খানা করতে থাকে। বাচ্চাদের অবস্থা বেগতিক দেখে আমি দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করি। সেখানকার কর্তব্য চিকিৎসক জানাই বাচ্চাদের ফুড পয়োজন হয়েছে। আমি পরের দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটা অভিযোগ দায়ের করি। আর আমি মনে করি এই ধরনের দোকানগুলো দ্রুত বন্ধ করে দেয়া হোক, যাতে করে আমার বাচ্চাদের মত আর কেউ অসুস্থ না হয়।

অপরদিকে আরও এক ভুক্তভোগী সাংবাদিক সরকার আরিফ জানান, আমি এই দোকান থেকে আমার বাচ্চাদের জন্য সমুচা কিনে নিয়ে যাই। বাচ্চারা সেগুলো খেয়ে দেড় দু’ঘণ্টার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বমি আর পাতলা পায়খানা করতে থাকে। মধ্যরাতে আমি কি করব সেটা ভেবে পাচ্ছিলাম না। জরুরী অবস্থায় বাচ্চাদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করি। সারারাত চিকিৎসা চলে। কি সমস্যা হয়েছে সেটা কর্তব্য চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ফুড পয়জন হয়েছে। আমার কথা হলো খাবার যদি স্বাস্থ্যসম্মত উপায় না বানায় তাহলে এরকম দোকান গুলো প্রশাসনের সিলগালা করে দেওয়া উচিত।