
মাঠ পর্যায়ে অসচেতনতা ও অজ্ঞতার কারণে সারের অতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। অতিরিক্ত সার দেওয়া মানে জমির জন্য ক্ষতি এবং কৃষকের অর্থের অপচয়। ফসলের জমিতে অতিরিক্ত সার ব্যবহার রোধে কাজ করছে সরকার বলে জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) শেষ বিকেলে রাজশাহীর তানোর উপজেলার দেবীপুর ফসলী মাঠে ‘খামারি অ্যাপ’ ব্যবহার নির্দেশনায় মাটির গুণগত মান বিবেচনা করে ধানের চাষাবাদ ও সার ব্যবহার পরিদর্শনে গিয়ে এসব বলেন তিনি।
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটের ৭০ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে সারের ভর্তুকিতে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত যে পরিমাণ সারের চাহিদা রয়েছে, তা মজুত রয়েছে। কিছু কৃত্রিম সমস্যার কারণে সার সংকট বলে প্রচার করা হচ্ছে।
কৃষি সচিব আরও বলেন, আলু চাষিদের কথা বিবেচনা করে হিমাগারের গেটে প্রতিকেজি আলুর সর্বনিম্ন ম‚ল্য ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে ৫০ হাজার টন আলু ক্রয় ও হিমাগারে সংরক্ষণ করে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিক্রি করা হবে। আগামী মৌসুমে আলু চাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলম, সরেজমিন উইং এর পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল, সরেজমিন উইং এর অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. জামাল উদ্দিন, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আজিজুর রহমান, রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. মোঃ হাসানুজ্জামান, রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা, কৃষি তথ্য সার্ভিসের উপ-পরিচালক (গণযোগাযোগ) ফেরদৌসী ইয়াসমিন, তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকাত সালমান, উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ প্রমুখ।
পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বিকেল ৫টা থেকে রাত্রি সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তানোর উপজেলার আইড়া মোড়স্থ রপ্তানিযোগ্য আম বাগান পরিদর্শন ও চুনিয়াপাড়ায় এয়ার ফ্লো মেশিন দ্বারা পেঁয়াজ সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। শেষে উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া হাড়দো বিলে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বস্তায় আদা চাষও পরিদর্শন করেন তিনি।
এসব অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সদস্য, জনপ্রতিনিধি, কৃষক-কৃষণী, কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।#
Reporter Name 


















