জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কারও বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ বা গ্রেপ্তার হলেই সক্রিয় হয়ে ওঠছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। নিজেদের কখনও পুলিশ, আবার কখনও গোয়েন্দা সং¯’ার লোক পরিচয় দিয়ে তারা ফোন করে টাকা দাবি করছে। টাকা না দিলে গ্রেপ্তার, চাকরিচ্যুত করা কিংবা ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখানো হ”েছ। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে একাধিক ভুক্তভোগী আক্কেলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও আক্কেলপুর পাইলট বালিকা উ”চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিম স্বাধীনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রতারক চক্রটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের কাছে ফোন করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। প্রতারক চক্র বলেন,হয় টাকা দিন না হলে আপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে,তার পরে আপনাকে গ্রেফতার করা হবে।

আক্কেলপুর পাইলট বালিকা উ”চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পরিচয়ে তাকে ফোন করা হয়। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়“গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম স্বাধীন জানিয়েছেন, আপনিও আওয়ামী লীগ করেন। সেই সূত্রে আপনার বিরুদ্ধেও মামলা হ”েছ। মামলা থেকে বাঁচতে হলে এখনই বিকাশে ৭০ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। টাকা না পাঠালে আপনাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি আরও জানান, কখনও থানায় গিয়ে, আবার কখনও থানার পাশের চায়ের দোকানে গিয়ে টাকা দিতে বলা হয়। এমনকি ফোনটি এক পরিচিত ব্যক্তিকে দিলে তাকেও ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি তিনি থানার ওসিকে অবহিত করেন।

প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিনের মতোই প্রতারক চক্রটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় কুমারসহ আরও কয়েকজনকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। একইভাবে, অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকেও ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। তবে তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কাজ। গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। শিক্ষকদের কাছে মোবাইল ফোনে টাকা চাওয়ার ঘটনাও খতিয়ে দেখা হ”েছ। আমরা শিক্ষকদের সতর্ক থাকতে বলেছি। ফোন নম্বরটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।