পুলিশকে ফোন দিয়ে নিজ কণ্যার বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন এক হতভাগ্য পিতা । বাল্যবিবাহ করার সময় আটক বর মোঃ শরিফুল ইসলামকে (২৫) দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার বেড়া উপজেলার বেঙ্গালীয়া গ্রামে। গতকাল বৃহস্পতিবার(২১আগষ্ট ) রাত সাড়ে ৮ টায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ.এন.ও) মোঃ মোরশেদুল ইসলাম এ সাজা দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন- বেড়া উপজেলার কৈটোলা ইউনিয়নের শিংহাসন গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে বর শরিফুল ইসলাম।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কৈটোলা ইউনিয়নের বেঙ্গালিয়া গ্রামে কনের মা তার পিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহের দিচ্ছিলেন। এ সময় কনের পিতা বিষয়টি বেড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোনে অবহিত করেন। খবর পেয়ে ওসি অলিউর রহমান বেঙ্গালিয়া গ্রামে কনের বাড়ীতে যান ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন। এ সময় বর শরিফুল ইসলামকে আটক করা হয়। এর আগে সে আরো দুটি বিয়ে করেছিলো বলে জানা গেছে।
পরে রাত সাড়ে ৮ টার সময় কনের বাড়ীতে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম এর কাছে বর অপরাধ স্বীকার করেন। বিচারক বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন২৯১৭ এর ৭(১) ধারা মোতাবেক বর শরিফুল ইসলামকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
কৈটোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মহসীন উদ্দিন পিপুল বলেন, এই বাল্য বিবাহ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বরের সাজা হওয়ায় অন্য অভিভাবকেরা বাল্য বিবাহের ব্যাপারে সচেতন হবেন।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম বলেন, বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে পাশাপাশি তিনি সকলকে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করার আহবান জানান।
শফিউল আযম, বেড়া (পাবনা)প্রতিবেদকঃ 


















