
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “বোরহানউদ্দিন কামিল (আলিয়া) মাদ্রাসা।” এর দ্বিতল একাডেমিক ভবনের ছাদের পলেস্তারা কয়েকদিন পরপর খসে পড়ছে। ৬ মাস আগে ক্লাস চলাকালিন সময়ে ছাদের পলেস্তারা খসে আলিম শ্রেণীর ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) হঠাৎ দোতালায় ওঠার সিঁড়ি বরাবর বড় অংশ নিয়ে ধসে পড়ে। এ সময় ওই স্থানে কেউ থাকলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা হতে পারতো। দ্বিতল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ উপরের তলার ৪টি ক্লাশের শ্রেণীকার্য অন্যত্র সড়িয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি দু’টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। এতে কক্ষের প্রযোজনীয়তা বাড়ছে। ফলে মাদ্রাসায় শ্রেণীকক্ষের অভাবে চরম পাঠদান সংকট দেখা দিয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, পুরোনো ভবনের নীচতলার করিডোরের সিঁড়ির কাছে খসে পড়া পলেস্তার। উপরের দিকে তাকালে খসে পড়া অংশে মরচে ধরা রড দেখা যায়। দোতালার করিডোরে অন্তত ১০টি স্থানে ধস দেখা যায়। শ্রেণীকক্ষের ভিতরে একই অবস্থা। পূর্ব প্রান্তের কক্ষে ছাদ ফাঁক হয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছে। প্রশাসনিক ভবনে পানি চুঁইয়ে ছাদে শ্যাওলা জমে থাকতে দেখা গেছে।
মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এ এইচ এম অলিউল্যাহ জানান, সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে ১৯৭৭ সালের দিকে প্রথম ভবন নির্মাণ কাজে হাত দেন। নকশা ছাড়াই ১০ ইঞ্চি ব্রিক ওয়ালের ভবন নির্মাণ করা হয়। ছাদ ছাড়া কোথাও রডের কলাম করা হয়নি। একতলা একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন এভাবেই শেষ করা হয়। ১৯৮৫ সালের দিকে দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ করেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ বি আহমদ উল্যাহ আনছারী বলেন, এ মাদ্রাসার বয়স ১০৪ বছর। ২০১৯-২০ অর্থবছরে একটি সাইক্লোন সেল্টার কাম একাডেমিক ভবন সরকারিভাবে পাওয়া গেছে। ওই স্থানে মোটামুটি ৮টি শ্রেণীর ক্লাশ হয়। ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ৪ কক্ষের ভোকেশনাল ভবন করা হয়। এটা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে বর্ষায় এ ভবনের ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। এ ভবনটি উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা গেলে নীচতলা যেমন রক্ষা হয়, তেমনি ৪টি কক্ষের সংস্থান হয়। মাদ্রাসার পুরাতন ভবনের দ্বিতল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওই স্থানে আর ক্লাশ নেয়া যাচ্ছেনা।
এছাড়া বিজ্ঞান ভবনের অবস্থাও নড়বড়ে। ব্যক্তির দানে নির্মিত ৫ রুমের একমাত্র ছাত্রাবাসটিরও করুণ দশা। প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর শ্রেণী কক্ষের সংকট এবং বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় এই মাদরাসা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে একটি নতুন একাডেমিক ভবন বরাদ্দসহ প্রসাশনিক ভবন উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করার দাবি জানান।
মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আ: সাত্তার জানান, এটা সংস্কারের পর্যায়ে নেই। এটাকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) মো: রায়হান-উজ্জামান জানান, নতুন ভবন করার আবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রে জানা গেছে, পুরোনো ভবনের নীচতলার করিডোরের সিঁড়ির কাছে খসে পড়া পলেস্তার। উপরের দিকে তাকালে খসে পড়া অংশে মরচে ধরা রড দেখা যায়। দোতালার করিডোরে অন্তত ১০টি স্থানে ধস দেখা যায়। শ্রেণীকক্ষের ভিতরে একই অবস্থা। পূর্ব প্রান্তের কক্ষে ছাদ ফাঁক হয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছে। প্রশাসনিক ভবনে পানি চুঁইয়ে ছাদে শ্যাওলা জমে থাকতে দেখা গেছে।
মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এ এইচ এম অলিউল্যাহ জানান, সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে ১৯৭৭ সালের দিকে প্রথম ভবন নির্মাণ কাজে হাত দেন। নকশা ছাড়াই ১০ ইঞ্চি ব্রিক ওয়ালের ভবন নির্মাণ করা হয়। ছাদ ছাড়া কোথাও রডের কলাম করা হয়নি। একতলা একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন এভাবেই শেষ করা হয়। ১৯৮৫ সালের দিকে দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ করেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ বি আহমদ উল্যাহ আনছারী বলেন, এ মাদ্রাসার বয়স ১০৪ বছর। ২০১৯-২০ অর্থবছরে একটি সাইক্লোন সেল্টার কাম একাডেমিক ভবন সরকারিভাবে পাওয়া গেছে। ওই স্থানে মোটামুটি ৮টি শ্রেণীর ক্লাশ হয়। ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ৪ কক্ষের ভোকেশনাল ভবন করা হয়। এটা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে বর্ষায় এ ভবনের ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। এ ভবনটি উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা গেলে নীচতলা যেমন রক্ষা হয়, তেমনি ৪টি কক্ষের সংস্থান হয়। মাদ্রাসার পুরাতন ভবনের দ্বিতল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওই স্থানে আর ক্লাশ নেয়া যাচ্ছেনা।
এছাড়া বিজ্ঞান ভবনের অবস্থাও নড়বড়ে। ব্যক্তির দানে নির্মিত ৫ রুমের একমাত্র ছাত্রাবাসটিরও করুণ দশা। প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর শ্রেণী কক্ষের সংকট এবং বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় এই মাদরাসা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে একটি নতুন একাডেমিক ভবন বরাদ্দসহ প্রসাশনিক ভবন উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করার দাবি জানান।
মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আ: সাত্তার জানান, এটা সংস্কারের পর্যায়ে নেই। এটাকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) মো: রায়হান-উজ্জামান জানান, নতুন ভবন করার আবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শরীফ হোসাইন, ভোলা 


















