
পাবনার বেড়া উপজেলার তারাপুর গ্রামে আহত হাদিসের মৃত্যুর খবরে শনিবার আবারও ঘরবাড়ি ভাংচুর-লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিযে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবারের সংঘর্ষে আহত মোঃ হাদিস (৪০) বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসাধী অবস্থায় শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুর পৌণে ২ টায় মারা যান।
এ খবরে তারাপুর গ্রামের দু’গ্রুপ আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কমপক্ষে ১৫টি বাড়ী লুটপাট ভাংচুর ও ২০টি বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বেড়া ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
হাদিস সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। সে তারাপুর গ্রামের মোঃ রহমত আলীর মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন।
জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে তারাপুর গ্রামে ঈদের নামাজ ও মসজিদে মিলাদ কিয়াম নিয়ে মুসল্লীদের মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে একটি গ্রুপ আলাদা মসজিদ নির্মাণ করেন। এ নিয়ে দুই মসজিদের মুসুল্লিদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
এর জের ধরে গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯ টার সময় মুসুল্লিরা নতুন মসজিদের বারান্দা দিতে গেলে অন্য মসজিদের মুসুল্লিরা বাধা দেয়। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় এক ঘন্টা স্থায়ী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। গুরুত্বর আহত ৫ জনকে বগুড়া ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর পৌণে ২ টার দিকে হাদিস মারা যান। এখবর এলাকায পৌঁছামাত্র উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এলাকায় টহল জোরদার করেছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীও কাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সেলিম নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে
Reporter Name 


















