
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ফসলে মাঠের গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফর্মার,বাসা-বাড়ি,দোকা নপাটে প্রায় দিনই চুরির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ ¯’ানীয়দের। এসব ঘটনায় ভূক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও থানা পুলিশ সেগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না। সেই সাথে চুরি যাওয়া মালামালও উদ্ধার করতে পারছে না পুলিশ। ফলে দিনে রাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে সাধারণ মানুষ।
আক্কেলপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় মাসে (জুন ও জুলাই) থানায় চুরি ও দস্যুতার ঘটনায় ভূক্তভোগীদের দেওয়া ২১ টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। আর মামলা হয়েছে মাত্র ২ টি। এর মধ্যে জুন মাসে লিখিত অভিযোগ ১১টি ও দস্যুতা মামলা ১ টি এবং জুলাই মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ হয়েছে ১০ টি ও মামলা হয়েছে ১টি। এছাড়াও গত জুলাই মাসের স্বর্ণ চুরির মামলায় ৩ জন গ্রেফতার হলেও উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া কোন মালামাল। অন্য ২২ টি ঘটনায় পুলিশ দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
আক্কেলপুর পৌরসদরের মাষ্টার পাড়া মহল্লার বাসিন্দা সাদমান হাফিজ বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আমাদের বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে চোরেরা সাউন্ড সিষ্টেমের বেশকিছু মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি পুলিশকে একাধিকবার জানিয়েছি, পুলিশ ঘটনা¯’লে আসেনি। এছাড়াও আমাদের মহল্লায় আরো ২-৩ টি বাড়ি চুরি হয়েছে, থানায় অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হয়নি।
এদিকে উপজেলার তিলকপুর নতুন বাজারের খীড়াপট্টিতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুটি কীটনাশকের দোকানের টিন কেটে একটি দোকান থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার কীটনাশক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি যাওয়া দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে চুরি করার দৃশ্য। প্রতিকার চেয়ে দোকান মালিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করার জন্য আসলে নেওয়া হয়েছে লিখিত অভিযোগ। তবে পুলিশ ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কিছুই করতে পারেনি।
একাধিক ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চুরির ঘটনা ঘটলে ঘটনা¯’লে পুলিশ গেলে ভূক্তভোগীদের থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। আবার অনেক সময় পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অনেক ভূক্তভোগীরা থানা পর্যন্ত আসতে চান না।
আক্কেলপুর কলেজ বাজারে মেইন রোডের পাশে রতন হোসেনের কনফেকশনারী দোকান। বাজারে নিয়মিত রাতের বেলা নাইট ডিউটি চলমান থাকার পরেও গত ২৮ জুন দিবাগত রাতে তার দোকানের টিন কেটে নগদ টাকা চুরি করে চোরেরা। এ ঘটনায় তিনি প্রতিকার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও তিনি দিলেও আজ পর্যন্ত তিনি ওই ঘটনার কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।
তিলকপুর বাজারে কীটনাশক ব্যবসায়ী আহমেদ আলী জানান , আমার দোকান ঘরের টিনের ছাউনি কেটে দোকান ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে মূল্যবান প্রায় দেড় লাখ টাকার বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক চুরি করে চোরেরা। দোকানে সিসি ক্যামেরাও ছিল, সেই ফুটেজ পুলিশকে দিয়েছি। পরে থানায় জিডি করতে গেলে আমার কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ নেয়। এরপর থেকে গত কয়েকদিন ধরে পুলিশকে ফোন করা হলে তারা শুধু বলে “বিষয়টি দেখতেছি”। আসলে পুলিশ চুরির বিষয়ে কোন কাজ করছে না।
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল (ডিজিএম) ম্যানেজার আব্দুর রহমান সরকার বলেন, আমি আক্কেলপুর অফিসে যোগদান করেছি গত তিন মাস পূর্বে। যোগদানের পর মাঠের ফসল উঠায় মিটার ও ট্রান্সফর্মার কিছু খুলে রাখে কৃষক। তার পরেও গত তিন মাসে ৫-৬ টি গভীর নলকূপের মিটার চুরি হয়েছে। আমাদের অফিস থেকে বিষয়টি থানায় লিখিত আকারে দিয়েছি, তবে পুলিশের পক্ষ থেকে চুরি যাওয়া কোন মিটার উদ্ধার বা দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা জায় নি।
আক্কেলপুর সরকারী এফ ইউ পাইলট উ”চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম মন্ডল বলেন, হরহামেশাই দিনের বেলায় পৌর এলাকার মহল্লা গুলোতে বাসা-বাড়ি চুরি হ”েছ। পুলিশের পক্ষ থেকে জোড়ালো পদক্ষেপ এখুনি না নিলে আগামী দিনগুলিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতে হবে সাধারণ মানুষকে। এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানোর পাশাপাশি চিহ্নিত অপরাধীদের প্রতি আরো নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আক্কেলপুর থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) মমিনুল ইসলাম বলেন, আমার জানামতে দুই-তিন মাসের মধ্য তিনটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি রোধে আমরা সর্বাত্মক মাঠে কাজ করছি। এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করেছি, আশা করছি খুব দ্রুত পরি¯ি’তি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আক্কেলপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় মাসে (জুন ও জুলাই) থানায় চুরি ও দস্যুতার ঘটনায় ভূক্তভোগীদের দেওয়া ২১ টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। আর মামলা হয়েছে মাত্র ২ টি। এর মধ্যে জুন মাসে লিখিত অভিযোগ ১১টি ও দস্যুতা মামলা ১ টি এবং জুলাই মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ হয়েছে ১০ টি ও মামলা হয়েছে ১টি। এছাড়াও গত জুলাই মাসের স্বর্ণ চুরির মামলায় ৩ জন গ্রেফতার হলেও উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া কোন মালামাল। অন্য ২২ টি ঘটনায় পুলিশ দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
আক্কেলপুর পৌরসদরের মাষ্টার পাড়া মহল্লার বাসিন্দা সাদমান হাফিজ বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আমাদের বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে চোরেরা সাউন্ড সিষ্টেমের বেশকিছু মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি পুলিশকে একাধিকবার জানিয়েছি, পুলিশ ঘটনা¯’লে আসেনি। এছাড়াও আমাদের মহল্লায় আরো ২-৩ টি বাড়ি চুরি হয়েছে, থানায় অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হয়নি।
এদিকে উপজেলার তিলকপুর নতুন বাজারের খীড়াপট্টিতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুটি কীটনাশকের দোকানের টিন কেটে একটি দোকান থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার কীটনাশক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি যাওয়া দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে চুরি করার দৃশ্য। প্রতিকার চেয়ে দোকান মালিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করার জন্য আসলে নেওয়া হয়েছে লিখিত অভিযোগ। তবে পুলিশ ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কিছুই করতে পারেনি।
একাধিক ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চুরির ঘটনা ঘটলে ঘটনা¯’লে পুলিশ গেলে ভূক্তভোগীদের থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। আবার অনেক সময় পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অনেক ভূক্তভোগীরা থানা পর্যন্ত আসতে চান না।
আক্কেলপুর কলেজ বাজারে মেইন রোডের পাশে রতন হোসেনের কনফেকশনারী দোকান। বাজারে নিয়মিত রাতের বেলা নাইট ডিউটি চলমান থাকার পরেও গত ২৮ জুন দিবাগত রাতে তার দোকানের টিন কেটে নগদ টাকা চুরি করে চোরেরা। এ ঘটনায় তিনি প্রতিকার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও তিনি দিলেও আজ পর্যন্ত তিনি ওই ঘটনার কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।
তিলকপুর বাজারে কীটনাশক ব্যবসায়ী আহমেদ আলী জানান , আমার দোকান ঘরের টিনের ছাউনি কেটে দোকান ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে মূল্যবান প্রায় দেড় লাখ টাকার বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক চুরি করে চোরেরা। দোকানে সিসি ক্যামেরাও ছিল, সেই ফুটেজ পুলিশকে দিয়েছি। পরে থানায় জিডি করতে গেলে আমার কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ নেয়। এরপর থেকে গত কয়েকদিন ধরে পুলিশকে ফোন করা হলে তারা শুধু বলে “বিষয়টি দেখতেছি”। আসলে পুলিশ চুরির বিষয়ে কোন কাজ করছে না।
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল (ডিজিএম) ম্যানেজার আব্দুর রহমান সরকার বলেন, আমি আক্কেলপুর অফিসে যোগদান করেছি গত তিন মাস পূর্বে। যোগদানের পর মাঠের ফসল উঠায় মিটার ও ট্রান্সফর্মার কিছু খুলে রাখে কৃষক। তার পরেও গত তিন মাসে ৫-৬ টি গভীর নলকূপের মিটার চুরি হয়েছে। আমাদের অফিস থেকে বিষয়টি থানায় লিখিত আকারে দিয়েছি, তবে পুলিশের পক্ষ থেকে চুরি যাওয়া কোন মিটার উদ্ধার বা দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা জায় নি।
আক্কেলপুর সরকারী এফ ইউ পাইলট উ”চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম মন্ডল বলেন, হরহামেশাই দিনের বেলায় পৌর এলাকার মহল্লা গুলোতে বাসা-বাড়ি চুরি হ”েছ। পুলিশের পক্ষ থেকে জোড়ালো পদক্ষেপ এখুনি না নিলে আগামী দিনগুলিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতে হবে সাধারণ মানুষকে। এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানোর পাশাপাশি চিহ্নিত অপরাধীদের প্রতি আরো নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আক্কেলপুর থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) মমিনুল ইসলাম বলেন, আমার জানামতে দুই-তিন মাসের মধ্য তিনটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি রোধে আমরা সর্বাত্মক মাঠে কাজ করছি। এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করেছি, আশা করছি খুব দ্রুত পরি¯ি’তি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আক্কেলপুর প্রতিবেদক 


















