
ঢাকার উত্তরায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ভোলার দৌলতখানের মেয়ে তাহিয়া তাবাসসুম নাদিয়া (১৩) সোমবার রাত ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নাদিয়া মাইলস্টোন কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গ্রামের বাড়ি দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে। ওই ইউনিয়নের ছানকাজি হাওলাদার বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার আশরাফুল ইসলামের মেয়ে নাদিয়া।
জানা গেছে, বিমান দুর্ঘটনায় আগুনে নাদিয়ার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় নাদিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছিল। বেঁচে থাকার দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলো নাদিয়া। বাবা-মাকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নাদিয়া। ছোট ছেলে একই কলেজের শিক্ষার্থীও হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এদিকে নাদিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এক সন্তানের অকাল মৃত্যু, অন্য সন্তান বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে এমন পরিস্থিতিতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছে বাবা-মা।
আজ দুপুরের পর ঢাকার উত্তরার কামার পাড়া এলাকায় নামাজে জানাজা শেষে নাদিয়ার দাফন সম্পন্ন হবে এমনটাই জানা গেছে পরিবারের পক্ষ থেকে। নাদিয়াসহ বিমান দুর্ঘটনায় সকল নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম, দৈনিক ভোলার বাণীর সম্পাদক মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, দৌলতখান প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকির আলম, সম্পাদক মিজানুর রহমান, দৌলতখান উপজেলা যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম প্রমূখ।
শরীফ হোসাইন, ভোলা 



















