ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা

গণিতেই বেশি ফেল

ঢাকা: চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় সব বোর্ডেই গণিতে পাশের হার আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় গণিতেই বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী কৃতকার্য হতে পারেনি। ফলে সব শিক্ষাবোর্ডে গণিতেই ভরাডুবি ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

১১টি বোর্ডের বিভিন্ন বিষয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো ফল হয়েছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে, যেখানে গণিতে পাশের হার ৮৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। এই ফল অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় অনেকটাই ভালো হলেও বাকি সব বোর্ডেই চিত্রটা হতাশাজনক।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গণিতে পাশ করেছে ৭৫ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। রাজশাহী বোর্ডে এ হার কিছুটা ভালো—৮৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। যশোর বোর্ডেও তুলনামূলক ভালো ফল হয়েছে, পাশের হার ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ।

তবে কুমিল্লা, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ফল অনেকটাই খারাপ। কুমিল্লা বোর্ডে গণিতে পাশের হার ৭২ দশমিক ০১ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে মাত্র ৬৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।

বরিশাল বোর্ডে এই হার আরও কম—মাত্র ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বোর্ডে গণিতে পাশ করেছে ৮১ দশমিক ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা তুলনামূলকভাবে ভালো হলেও আশানুরূপ নয়। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এছাড়া, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডেও গণিতে পাশের হার কম, যেখানে ৭৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণিত বিষয়টিকে শিক্ষার্থীরা এখনো ভয় পায়। পাশাপাশি স্কুলে গণিতশিক্ষকের সংকট, মানসম্মত পাঠদানের অভাব এবং পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ না থাকায় এমন ফলাফলের দেখা মিলছে।

একইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে গাণিতিক ধারণার দুর্বলতা, অনুশীলনমূলক প্রশ্নে অনভ্যস্ততা এবং পাঠ্যবই নির্ভর না হয়ে কোচিং ও গাইড নির্ভরতা বৃদ্ধিও অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত

গণিতেই বেশি ফেল

Update Time : ০৫:১৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

ঢাকা: চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় সব বোর্ডেই গণিতে পাশের হার আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় গণিতেই বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী কৃতকার্য হতে পারেনি। ফলে সব শিক্ষাবোর্ডে গণিতেই ভরাডুবি ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

১১টি বোর্ডের বিভিন্ন বিষয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো ফল হয়েছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে, যেখানে গণিতে পাশের হার ৮৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। এই ফল অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় অনেকটাই ভালো হলেও বাকি সব বোর্ডেই চিত্রটা হতাশাজনক।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গণিতে পাশ করেছে ৭৫ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। রাজশাহী বোর্ডে এ হার কিছুটা ভালো—৮৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। যশোর বোর্ডেও তুলনামূলক ভালো ফল হয়েছে, পাশের হার ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ।

তবে কুমিল্লা, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ফল অনেকটাই খারাপ। কুমিল্লা বোর্ডে গণিতে পাশের হার ৭২ দশমিক ০১ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে মাত্র ৬৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।

বরিশাল বোর্ডে এই হার আরও কম—মাত্র ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বোর্ডে গণিতে পাশ করেছে ৮১ দশমিক ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা তুলনামূলকভাবে ভালো হলেও আশানুরূপ নয়। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এছাড়া, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডেও গণিতে পাশের হার কম, যেখানে ৭৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণিত বিষয়টিকে শিক্ষার্থীরা এখনো ভয় পায়। পাশাপাশি স্কুলে গণিতশিক্ষকের সংকট, মানসম্মত পাঠদানের অভাব এবং পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ না থাকায় এমন ফলাফলের দেখা মিলছে।

একইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে গাণিতিক ধারণার দুর্বলতা, অনুশীলনমূলক প্রশ্নে অনভ্যস্ততা এবং পাঠ্যবই নির্ভর না হয়ে কোচিং ও গাইড নির্ভরতা বৃদ্ধিও অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।