ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মন থেকে নিজের ছেলে মেয়ে ভেবে শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক ভাবে লেখাপড়া করান — শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রহমান হাবিব Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) মনোনয়নের আবেদন করেছেন প্রীতম দাশ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা ॥ ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে পুলিশ কর্মকর্তা আহত Logo ভয়াল ১২ই নভেম্বর স্মরণে ভোলায় আলোচনা সভা ও র‌্যালি Logo শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে ১১লাখ টাকার পণ্য জব্দ; ১জন গ্রেফতার Logo কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুবশক্তির ৩১ জনের পদত্যাগ Logo নভেম্বরের শেষে দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন Logo আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার কিছু নেই: আমীর খসরু Logo সীমান্তে ৪ কোটি টাকার পণ্যসহ গাড়ি জব্দ করছে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ান Logo আত্রাইয়ে ইটভাটা বন্ধের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের মাধ্যমে পক্ষপাতহীনভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করে মুক্তিযুদ্ধের বিভ্রান্তিকর ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব অবকাঠামোতে রণাঙ্গনের কোনো বিস্তৃত বর্ণনা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা নেই, কেবল মাত্র একটি পরিবারের ছবি-সরঞ্জাম দিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পে ২৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কোটি টাকা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে গেলেও তারা তেমন কোনো গবেষণা করেনি।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধাভোগী শ্রেণি হিসেবে গড়ে তুলেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ সম্পত্তি, সুযোগ-সুবিধা ও অর্থকে দলীয়করণ করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরি অবকাঠামোতে বসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে। অরক্ষিত সম্পত্তি যেগুলো মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় রয়েছে; এগুলো মূল্যবান সম্পদ। এই সম্পত্তিগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।’

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে থাকা সম্পত্তি কীভাবে সদ্ব্যবহার করা যায় এবং ট্রাস্টের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগানো যায় এ বিষয়টি নিরূপণের জন্য অতিদ্রুত একজন পরামর্শক নিয়োগ এবং পরবর্তী একটি কমিটি গঠনে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘কল্যাণ ট্রাস্টের কাজ কী কী হবে, তাদের আওতাধীন সম্পত্তিগুলোতে কী কী এন্টারপ্রাইজ হতে পারে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এই ট্রাস্টকে আবার জীবন্ত করতে হবে।’

আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সকল প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস উঠে আসে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সকলকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে বর্তমান সরকারের সময়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত বা বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং আগামী ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মন থেকে নিজের ছেলে মেয়ে ভেবে শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক ভাবে লেখাপড়া করান — শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রহমান হাবিব

মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ

Update Time : ১২:০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের মাধ্যমে পক্ষপাতহীনভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করে মুক্তিযুদ্ধের বিভ্রান্তিকর ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব অবকাঠামোতে রণাঙ্গনের কোনো বিস্তৃত বর্ণনা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা নেই, কেবল মাত্র একটি পরিবারের ছবি-সরঞ্জাম দিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পে ২৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কোটি টাকা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে গেলেও তারা তেমন কোনো গবেষণা করেনি।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধাভোগী শ্রেণি হিসেবে গড়ে তুলেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ সম্পত্তি, সুযোগ-সুবিধা ও অর্থকে দলীয়করণ করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরি অবকাঠামোতে বসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে। অরক্ষিত সম্পত্তি যেগুলো মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় রয়েছে; এগুলো মূল্যবান সম্পদ। এই সম্পত্তিগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।’

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে থাকা সম্পত্তি কীভাবে সদ্ব্যবহার করা যায় এবং ট্রাস্টের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগানো যায় এ বিষয়টি নিরূপণের জন্য অতিদ্রুত একজন পরামর্শক নিয়োগ এবং পরবর্তী একটি কমিটি গঠনে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘কল্যাণ ট্রাস্টের কাজ কী কী হবে, তাদের আওতাধীন সম্পত্তিগুলোতে কী কী এন্টারপ্রাইজ হতে পারে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এই ট্রাস্টকে আবার জীবন্ত করতে হবে।’

আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সকল প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস উঠে আসে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সকলকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে বর্তমান সরকারের সময়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত বা বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং আগামী ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়।