
ফেডারেল রিযার্ভের অর্ধ-বার্ষিক আর্থিক নীতির বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাপিটল হিলে হাজির হন, ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েল। বুধবার সেনেট ব্যাংকিং, হাউযিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স কমিটির মুখোমুখি হন তিনি।
শুনানিতে রিপাবলিকান সেনেটর জন কেনেডির এক প্রশ্নের জবাবে পাওয়েল বলেন- শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করা বেশ কঠিন, কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বব্যাপী শুল্ক কমানোর প্রবণতা দেখা যাওয়ায়, শুল্কের প্রভাব নিয়ে আধুনিক জ্ঞান খুব সীমিত। তাই, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতি মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ফেডারেল রিufর্ভকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে বলে জানান তিনি।
পাওয়েল উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শুল্ক, বর্তমান প্রস্তাবিত শুল্কের মাত্র এক-ষষ্ঠাংশ ছিল এবং মূল্যস্ফীতির ওপর সেগুলোর কিছু প্রভাব দেখা গিয়েছিল। তাই ফেড বর্তমানে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করছে।
রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত বাজেট ১০ বছরে ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঘাটতি বাড়াতে পারে, কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের এমন তথ্য তুলে ধরে কমিটির র্যাংকিং মেম্বার এলিযাবেথ ওয়ারেন, এ বিষয়ে ফেডের মূল্যায়ন জানতে চান।
এ প্রসঙ্গে পাওয়েল বলেন, রাজস্ব নীতি মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে; তবে ফেড সাধারণত এ বিষয়ে মন্তব্য করে না।
তিনি আরো জানান, ফেডারেল রিযার্ভ মন্দার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা করছে না। তবে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।
এর আগে সূচনা বক্তব্যে জেরোম পাওয়েল উল্লেখ করেন, চলতি বছরে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে দব্যমূল্য আরো বাড়তে পারে।
অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে, ফেডারেল রিযার্ভ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ওপর জোর দিচ্ছে বলেও, জানান পাওয়েল।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 




















