
ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তথ্য জানিয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, শনিবার দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রে যেই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা বলছে, আদতে সেখানে এমন কোনো পদার্থ নেই যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করে।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে খুবই সফলভাবে হামলা করা হয়েছে। আর সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে। এছাড়া এটি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
এর আগে ইরানে সফল সামরিক অভিযানের বিষয়ে হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় রাত দশটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ট্রাম্প। জানান, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যদি দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠা না হয়, তাহলে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুগুলোর উপরও শিগগিরি নির্ভুলভাবে এবং দক্ষতার সাথে অভিযান চালানো হবে।
এসময় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দনও জানান তিনি।
এদিন ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালাতে বি-২ বোমারু বিমান ব্যাবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত বুধবার টেলিভিশনে দেয়া তার এক বক্তব্য আবারও শেয়ার করা হয়েছে।
ওই ভিডিও বার্তায় খামেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ক্ষতির মুখে পড়বে, তা ইরানের যে কোনো ক্ষতির চেয়ে বহুগুণ বেশি হবে।
ওই কর্মকর্তার মন্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ বোমা হামলার আগেই হয়তো ওই স্থাপনাগুলো থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে ফেলেছিলো।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
























