ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সীমান্তে ৪ কোটি টাকার পণ্যসহ গাড়ি জব্দ করছে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ান Logo আত্রাইয়ে ইটভাটা বন্ধের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান Logo সাঁথিয়ায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ Logo বিজয়নগরে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রোল ঢেলে আগুন Logo ঢাকা ও আশপাশে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, সতর্ক পুলিশ-র‍্যাবও Logo ছাত্রদলের প্যানেলে শীর্ষ দুই পদেই বহিরাগত! তৃণমূলে অসন্তোষ Logo মাঠে ময়লার ভাগাড় থাকায় খেলাধুলা বন্ধ পাঁচ বছর; ওয়াসব্লকে ছাগলের খামার! Logo তানোর-গোদাগাড়ীতে প্রার্থী ঘোষণায় সরগরম বিএনপির তৃণমূল Logo বিএনপিতে ফেরায় সংবর্ধিত হলেন কমেট চৌধুরী Logo ঈশ্বরদীতে ক্ষুধায় বাবা মায়ের কবরের কাছে গিয়ে খাবার চাওয়া সাগরের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি

ঢাকা: বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার অভিযোগে সাবেক তিনজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে বিএনপি। সূত্র বলছে, আগামীকাল রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা দায়ের করা হবে।

সূত্র অনুযায়ী, রোববার সকালে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র হস্তান্তর করবেন। এই চিঠিতে থাকবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-এর স্বাক্ষর। এরপর সালাহউদ্দিন আহমেদ শেরেবাংলা নগর থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করবেন।

২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল বহুল আলোচিত ও সমালোচিত। তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ১৫৩টি আসনে ভোটগ্রহণ ছাড়াই আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করে।
এই নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি ও বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। মাত্র ১২টি দল অংশ নেয়, যার ফলে নির্বাচনটির গণতান্ত্রিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

তৎকালীন নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে ছিলেন: মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ।

কাজী রকিবউদ্দীন শেষ মুহূর্তে বলেন, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া দোষের কিছু নয়। এটি আইনে আছে।’

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচন রাতেই ভোট ডাকাতি ও আগাম ব্যালট সিল মারা হয় বলে অভিযোগ করে দলটি।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসন অর্জন করে। বিপরীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৮টি আসনে জয়লাভ করে।

তৎকালীন সিইসি ছিলেন কে এম নুরুল হুদা যিনি ভোটের অনিয়ম জেনেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলো- মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও (প্রয়াত) মাহবুব তালুকদার।

সর্বশেষ কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের নির্বাচন নিয়ে রয়েছে আরও বিতর্ক। তার অধীনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি, ভোটের হার ও স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৭.১৫% ভোট পড়ার কথা বলা হলেও, এক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ৪০% বলে উল্লেখ করা হয়। যা নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আউয়াল কমিশনে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আনিছুর রহমান, মো. আলমগীর ও বেগম রাশেদা সুলতানা।

বিএনপির দাবি, এই কমিশন আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন করে ডামি ভোট নামে পরিচিত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্তে ৪ কোটি টাকার পণ্যসহ গাড়ি জব্দ করছে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ান

সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি

Update Time : ০৮:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
ঢাকা: বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার অভিযোগে সাবেক তিনজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে বিএনপি। সূত্র বলছে, আগামীকাল রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা দায়ের করা হবে।

সূত্র অনুযায়ী, রোববার সকালে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র হস্তান্তর করবেন। এই চিঠিতে থাকবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-এর স্বাক্ষর। এরপর সালাহউদ্দিন আহমেদ শেরেবাংলা নগর থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করবেন।

২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল বহুল আলোচিত ও সমালোচিত। তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ১৫৩টি আসনে ভোটগ্রহণ ছাড়াই আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করে।
এই নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি ও বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। মাত্র ১২টি দল অংশ নেয়, যার ফলে নির্বাচনটির গণতান্ত্রিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

তৎকালীন নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে ছিলেন: মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ।

কাজী রকিবউদ্দীন শেষ মুহূর্তে বলেন, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া দোষের কিছু নয়। এটি আইনে আছে।’

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচন রাতেই ভোট ডাকাতি ও আগাম ব্যালট সিল মারা হয় বলে অভিযোগ করে দলটি।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসন অর্জন করে। বিপরীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৮টি আসনে জয়লাভ করে।

তৎকালীন সিইসি ছিলেন কে এম নুরুল হুদা যিনি ভোটের অনিয়ম জেনেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলো- মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও (প্রয়াত) মাহবুব তালুকদার।

সর্বশেষ কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের নির্বাচন নিয়ে রয়েছে আরও বিতর্ক। তার অধীনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি, ভোটের হার ও স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৭.১৫% ভোট পড়ার কথা বলা হলেও, এক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ৪০% বলে উল্লেখ করা হয়। যা নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আউয়াল কমিশনে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আনিছুর রহমান, মো. আলমগীর ও বেগম রাশেদা সুলতানা।

বিএনপির দাবি, এই কমিশন আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন করে ডামি ভোট নামে পরিচিত হয়।