ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা

তীব্র গরমেও সৈয়দপুরের হাসপাতালের ফ্যান নষ্ট, রোগীদের নাজেহাল অবস্থা

তীব্র দাবদাহ আর ভ্যাপ্সা গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে সৈয়দপুরের জনজীবন। হাসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে প্রাণীকূলেও। সৈয়দপুর অঞ্চলে ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। বেড়েছে সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। সেবা নিতে প্রতিদিনই সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে‌ ভিড় বাড়ছে মানুষদের। কিন্তু ফ্যান নষ্টের কারণে সেবা নিতে এসে রোগীরা সেখানে টিকতে পারছে না। ফলে সেবা নিতে এসে অনেক রুগীই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছে অনত্র।

১৪ জুন দুপুরে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিলিং ফ্যান নষ্ট। সুইচ বোডও নষ্ট দীর্ঘদিন ধরে। ফলে প্রচন্ড গরমে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সামান্য স্বস্তি পেতে রোগীদের কেউ কেউ নিজেদের কেনা ফ্যান এবং হাত পাখার মাধ্যমে গরম নিবারণের চেষ্টা করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক রুগী বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানতে পারি হাসপাতালের সব ‘ফ্যানই নষ্ট। এর পরেও ২ দিন ধরে পড়ে আছি হাসপাতালে। নার্সদেরকে ফ্যানের কথা বলতে গিয়ে অপদস্ত হতে হয়েছি কয়েকবার। কিনতু পরে বাধ্য হয়েই বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যান নিয়ে এসেছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের সাথে পরিবারের লোকজন ও এই হাসপাতালে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু ডাক্তার ও নার্সদের রুমে সেলিং ফ্যান ঠিকই ঘুরছে।

ময়না নামের এক রোগী জানান , আমাদের রুমে ১২ টি ফ্যান আছে কিন্তু এর মধ্যে ৭ টি অচল। বাকি ফ্যানগুলি ঘুরলেও বাতাস গায়ে লাগছে না। হাসপাতালের বাইরে ও ভিতরে একই গরম। ফ্যানের কথা বলতে গিয়ে হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার নাজমুল হুদা প্রায় রোগীকে বলেছেন, এভাবে চিকিৎসা নিতে চাইলে নেন, নচেৎ অন্য খানে চলে যেতে পারেন।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ হোসেন জানান, ঈদের ছুটি থাকায় অধিকাংশ ফ্যান ঠিক করা সম্ভব হয়নি। আজ হাসপাতালে ঢুকেই দেখতে পেলাম অনেক ফ্যানই ঘুরছে না, একারনে কয়েকটি ফ্যান ঠিক করেছি এবং নতুন করে চারটি ফ্যান লাগানো হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই বিকল হওয়া সব ফ্যান সরিয়ে নতুন ফ্যান লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত

তীব্র গরমেও সৈয়দপুরের হাসপাতালের ফ্যান নষ্ট, রোগীদের নাজেহাল অবস্থা

Update Time : ১১:২০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

তীব্র দাবদাহ আর ভ্যাপ্সা গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে সৈয়দপুরের জনজীবন। হাসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে প্রাণীকূলেও। সৈয়দপুর অঞ্চলে ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। বেড়েছে সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। সেবা নিতে প্রতিদিনই সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে‌ ভিড় বাড়ছে মানুষদের। কিন্তু ফ্যান নষ্টের কারণে সেবা নিতে এসে রোগীরা সেখানে টিকতে পারছে না। ফলে সেবা নিতে এসে অনেক রুগীই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছে অনত্র।

১৪ জুন দুপুরে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিলিং ফ্যান নষ্ট। সুইচ বোডও নষ্ট দীর্ঘদিন ধরে। ফলে প্রচন্ড গরমে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সামান্য স্বস্তি পেতে রোগীদের কেউ কেউ নিজেদের কেনা ফ্যান এবং হাত পাখার মাধ্যমে গরম নিবারণের চেষ্টা করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক রুগী বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানতে পারি হাসপাতালের সব ‘ফ্যানই নষ্ট। এর পরেও ২ দিন ধরে পড়ে আছি হাসপাতালে। নার্সদেরকে ফ্যানের কথা বলতে গিয়ে অপদস্ত হতে হয়েছি কয়েকবার। কিনতু পরে বাধ্য হয়েই বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যান নিয়ে এসেছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের সাথে পরিবারের লোকজন ও এই হাসপাতালে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু ডাক্তার ও নার্সদের রুমে সেলিং ফ্যান ঠিকই ঘুরছে।

ময়না নামের এক রোগী জানান , আমাদের রুমে ১২ টি ফ্যান আছে কিন্তু এর মধ্যে ৭ টি অচল। বাকি ফ্যানগুলি ঘুরলেও বাতাস গায়ে লাগছে না। হাসপাতালের বাইরে ও ভিতরে একই গরম। ফ্যানের কথা বলতে গিয়ে হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার নাজমুল হুদা প্রায় রোগীকে বলেছেন, এভাবে চিকিৎসা নিতে চাইলে নেন, নচেৎ অন্য খানে চলে যেতে পারেন।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ হোসেন জানান, ঈদের ছুটি থাকায় অধিকাংশ ফ্যান ঠিক করা সম্ভব হয়নি। আজ হাসপাতালে ঢুকেই দেখতে পেলাম অনেক ফ্যানই ঘুরছে না, একারনে কয়েকটি ফ্যান ঠিক করেছি এবং নতুন করে চারটি ফ্যান লাগানো হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই বিকল হওয়া সব ফ্যান সরিয়ে নতুন ফ্যান লাগানো হবে বলে জানান তিনি।