
গুজরাতের অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে। রানওয়ে ছেড়ে বেরোনো এবং বিমান ভেঙে পড়ার ওই সময়ের মধ্যে কী হয়েছিল, তা নিয়েই এখন কাটাছেঁড়া চলছে। বিমানে যাত্রী, ক্রু সদস্য এবং পাইলট-সহ ২৪২ জন ছিলেন।আরোহীদের কেউ বেচেঁ নেই। তবে সরকারি ভাবে এখনও মৃত্যুর সংখ্যা জানানো হয়নি। দুপুর ১টা ৩০ থেকে ১টা ৪০ মিনিটের মধ্যে কী হয়েছিল? বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী—
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০
ওড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১। বিমানটি তখন রানওয়েতেই ছিল।
দুপুর ১টা ৩৮
উপগ্রহ চিত্র বলছে, ওই সময় রানওয়ের শেষ প্রান্ত ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল ছিল বিমানটি। তখনও বিমানের সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর যোগাযোগ ছিল।
দুপুর ১টা ৩৯
বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যায় এআই ১৭১। তখনও বিমানের সঙ্গে এটিসির যোগাযোগ ছিল। পাইলট বিপদসঙ্কেত পাঠান এটিসি-কে। কয়েক সেকেন্ডে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমান তখন ৬২৫ ফুট উপরে।
দুপুর ১টা ৪০
বিমান ভেঙে পড়ে মেঘানিনগরে।
ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি যখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৫০ ফুট উপরে ছিল সেই সময়েই সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানটি মিনিটে ৪০০ ফুট গতিতে নীচে নেমে আসছিল। তার পরেই লোকালয়ে ভেঙে পড়ে। বিমান যখন দ্রুতগতিতে নীচে নেমে আসছিল, সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাইলটের হাতে এক মিনিটও সময় ছিল না। বিমান বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, সেই সময়ে সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬২৫ ফুট উঁচুতে ছিল। যদি বিমান ৩৫ হাজার ফুট উপরে থাকত, তা হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় পেতেন পাইলট এবং ক্রু সদস্যেরা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রানওয়ে ছেড়ে ওড়ার পর মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় বিমানটি উঠেছিল। ফলে পাইলট কোনও কিছু করার সুযোগই পাননি।
দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার পর পরই এটিসিকে ‘মে ডে কল’ করেন পাইলট। কিন্তু বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও আর জবাব পাওয়া যায়নি। ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য বলছে, যে বিমানটি ভেঙে পড়ছে সেটি ভিটি-এএনবি। বিমানটি বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লি থেকে অহমদাবাদে আসে। তার পর সেটি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 




















