ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত

ট্রাম্প আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড, ৭শ মেরিন সেনা পাঠালেন লস অ্যাঞ্জেলেসে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • ১৭ Time View

যুক্তরাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে শান্তি ফেরাতে এবার সেখানে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল কার্ড এবং ৭০০ মেরিন সেনা সদস্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসন উচ্ছেদ এবং নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। তার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং মার্কিন কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই। পুলিশ ও আইসিই’র যৌথ অভিযানে গত প্রায় ৬ মাসে শত শত নথিবিহীন অভিবাসীকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া নথিবিহীন অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি— এমন অঙ্গরাজ্যগুলোতে পৃথক বন্দিশালা বা ডিটেনশন সেন্টার করা হয়েছে। সেসব বন্দিশালায় আটক আছেন আরও হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।

প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসী আছেন। এদের অধিকাংশই মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। সাধারণত শহরতলী এলাকাগুলোতে তারা থাকেন।

গত ৬ জুন শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলী এলাকা প্যারামাউন্টে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযানে নামেন পুলিশ ও আইসিই সদস্যরা। তবে অভিযানের শুরুতেই তারা ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। প্যারামাউন্টের বাসিন্দারা তীব্র বিক্ষোভের পাশাপাশি পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, বোতল ও মলোটভ ককটেল বা পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকেন।

অবস্থা বেগতিক দেখে পরের দিন পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের সহায়তার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন আধা সামরিক বাহিনী হাজার ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্যকে মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার পরিবর্তে সংঘাত আরও বাড়তে থাকে।

এই অবস্থায় গতকাল সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং তাদের সঙ্গে ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাম্প।

আজ চার দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এখানে লক্ষ্যণীয় যে ব্যাপক উত্তেজনা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত খুব বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তারের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত চললেও বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভবন বা স্থাপনায় এখনও হামলা করেননি।

তবে পুলিশ এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিয়েছেন তারা।

৪২ বছর বয়সী মারজিতা কেরেটা প্রথম প্রজন্মের মার্কিন নাগরিক। তার মা মেক্সিকো এবং বাবা হন্ডুরাস থেকে এসে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছিলেন। রয়টার্সকে মারজিতা বলেন, “এখানে যা হচ্ছে, তার প্রভাব সব মার্কিনিদের ওপর পড়ছে। কারণ এদেশের অধিকাংশ মানুষ মুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়।”রয়টার্স

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার

ট্রাম্প আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড, ৭শ মেরিন সেনা পাঠালেন লস অ্যাঞ্জেলেসে

Update Time : ১০:০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

যুক্তরাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে শান্তি ফেরাতে এবার সেখানে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল কার্ড এবং ৭০০ মেরিন সেনা সদস্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসন উচ্ছেদ এবং নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। তার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং মার্কিন কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই। পুলিশ ও আইসিই’র যৌথ অভিযানে গত প্রায় ৬ মাসে শত শত নথিবিহীন অভিবাসীকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া নথিবিহীন অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি— এমন অঙ্গরাজ্যগুলোতে পৃথক বন্দিশালা বা ডিটেনশন সেন্টার করা হয়েছে। সেসব বন্দিশালায় আটক আছেন আরও হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।

প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসী আছেন। এদের অধিকাংশই মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। সাধারণত শহরতলী এলাকাগুলোতে তারা থাকেন।

গত ৬ জুন শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলী এলাকা প্যারামাউন্টে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযানে নামেন পুলিশ ও আইসিই সদস্যরা। তবে অভিযানের শুরুতেই তারা ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। প্যারামাউন্টের বাসিন্দারা তীব্র বিক্ষোভের পাশাপাশি পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, বোতল ও মলোটভ ককটেল বা পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকেন।

অবস্থা বেগতিক দেখে পরের দিন পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের সহায়তার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন আধা সামরিক বাহিনী হাজার ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্যকে মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার পরিবর্তে সংঘাত আরও বাড়তে থাকে।

এই অবস্থায় গতকাল সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং তাদের সঙ্গে ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাম্প।

আজ চার দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এখানে লক্ষ্যণীয় যে ব্যাপক উত্তেজনা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত খুব বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তারের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত চললেও বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভবন বা স্থাপনায় এখনও হামলা করেননি।

তবে পুলিশ এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিয়েছেন তারা।

৪২ বছর বয়সী মারজিতা কেরেটা প্রথম প্রজন্মের মার্কিন নাগরিক। তার মা মেক্সিকো এবং বাবা হন্ডুরাস থেকে এসে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছিলেন। রয়টার্সকে মারজিতা বলেন, “এখানে যা হচ্ছে, তার প্রভাব সব মার্কিনিদের ওপর পড়ছে। কারণ এদেশের অধিকাংশ মানুষ মুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়।”রয়টার্স