ঢাকা ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত

প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতের দুই দাবি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা বলেছি, দুইটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার। নির্বাচনটা কখন হবে? আপনি যে সময়সীমা দিয়েছেন, এর ভেতরে জনগণের কোনো বড় ধরনের ভোগান্তি না হয়ে একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচন হওয়া উচিত। আর দুই নম্বর হলো, নির্বাচনের আগে সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচারের কিছু প্রক্রিয়া জনগণের সামনে আসতে হবে। সংস্কার শেষ না করে যদি নির্বাচন হয়, জনগণ এই নির্বাচনে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।”

“আবার সব সংস্কার এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভবও নয়” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এরপর তাকে উপস্থিত সাংবাদিকদের একজন প্রশ্ন করেন যে আজকের আলাপে জামায়াতে ইসলামী কোনো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা কোনো সময় বেঁধে দেইনি। আমরা কমফোর্টেবল দুইটা টাইম জাতিকে জানিয়েছি। যদি সংস্কার শেষ হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে এটা (নির্বাচন) হতে পারে। আর যদি আরেকটু সময় লাগে, তাহলে রোজার পরপর হতে হবে। তারপর এটাকে টেনে লম্বা করলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।”

জামায়াতের দুই দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তিনি গভীর মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং আমাদের আস্থা হয়েছে যে তিনি বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।”

বিএনপি যে তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছে, সে বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চান সাংবাদিকরা।

উত্তরে তিনি বলেন, “পদত্যাগ চাইলো বিএনপি, আর ফতোয়া দেবে জামায়াতে ইসলামী। এটা কি মানায়? যারা পদত্যাগ চেয়েছে, তারাই ব্যাখ্যা করবে। আমরা কারও কোনো পদত্যাগ চাইনি।”

সবশেষে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করে, “সরকার আপনাদের কেন ডেকেছিলো? কী বলতে চায় আপনাদেরকে?”

উত্তরে তিনি তখন বলেন, “আমাদের ব্যাপার আর বিএনপির ব্যাপার একরকম না। একটু পার্থক্য আছে। আমরা কিন্তু নিজেরাই চেয়েছি। টাইমটা ফিক্স-আপ হয়েছে। দাওয়াত আমরা পেয়েছি, কিন্তু এর আগে আমরাই চেয়েছি এবং আমাদের চাওয়ার প্রেক্ষিতেই আজকে সন্ধ্যা ৬টায় সময় নির্ধারিত হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের অন্য একটি দলীয় কর্মসূচির কারণে আমরা চেয়েছিলাম, আমাদেরকে আরও দুই ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

“উনি শুধু এটুকুই বলেছেন, দেশ আমাদের সবার। আমি (মুহাম্মদ ইউনূস) অবশ্যই একটি অর্থবহ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন দিতে চাই। আমি যেন-তেন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না,” যোগ করেন জামায়াতের আমির।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার

প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতের দুই দাবি

Update Time : ১২:৫২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা বলেছি, দুইটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার। নির্বাচনটা কখন হবে? আপনি যে সময়সীমা দিয়েছেন, এর ভেতরে জনগণের কোনো বড় ধরনের ভোগান্তি না হয়ে একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচন হওয়া উচিত। আর দুই নম্বর হলো, নির্বাচনের আগে সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচারের কিছু প্রক্রিয়া জনগণের সামনে আসতে হবে। সংস্কার শেষ না করে যদি নির্বাচন হয়, জনগণ এই নির্বাচনে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।”

“আবার সব সংস্কার এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভবও নয়” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এরপর তাকে উপস্থিত সাংবাদিকদের একজন প্রশ্ন করেন যে আজকের আলাপে জামায়াতে ইসলামী কোনো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা কোনো সময় বেঁধে দেইনি। আমরা কমফোর্টেবল দুইটা টাইম জাতিকে জানিয়েছি। যদি সংস্কার শেষ হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে এটা (নির্বাচন) হতে পারে। আর যদি আরেকটু সময় লাগে, তাহলে রোজার পরপর হতে হবে। তারপর এটাকে টেনে লম্বা করলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।”

জামায়াতের দুই দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তিনি গভীর মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং আমাদের আস্থা হয়েছে যে তিনি বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।”

বিএনপি যে তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছে, সে বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চান সাংবাদিকরা।

উত্তরে তিনি বলেন, “পদত্যাগ চাইলো বিএনপি, আর ফতোয়া দেবে জামায়াতে ইসলামী। এটা কি মানায়? যারা পদত্যাগ চেয়েছে, তারাই ব্যাখ্যা করবে। আমরা কারও কোনো পদত্যাগ চাইনি।”

সবশেষে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করে, “সরকার আপনাদের কেন ডেকেছিলো? কী বলতে চায় আপনাদেরকে?”

উত্তরে তিনি তখন বলেন, “আমাদের ব্যাপার আর বিএনপির ব্যাপার একরকম না। একটু পার্থক্য আছে। আমরা কিন্তু নিজেরাই চেয়েছি। টাইমটা ফিক্স-আপ হয়েছে। দাওয়াত আমরা পেয়েছি, কিন্তু এর আগে আমরাই চেয়েছি এবং আমাদের চাওয়ার প্রেক্ষিতেই আজকে সন্ধ্যা ৬টায় সময় নির্ধারিত হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের অন্য একটি দলীয় কর্মসূচির কারণে আমরা চেয়েছিলাম, আমাদেরকে আরও দুই ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

“উনি শুধু এটুকুই বলেছেন, দেশ আমাদের সবার। আমি (মুহাম্মদ ইউনূস) অবশ্যই একটি অর্থবহ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন দিতে চাই। আমি যেন-তেন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না,” যোগ করেন জামায়াতের আমির।