
পাবনার সাঁথিয়ায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার বাদীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে উপজেলার গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের হাড়িয়াকাহন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে খাটসহ বিছানাপত্র আসবাবপত্রসহ পুড়ে যায়। এ ঘটনায় সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গত এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে হাড়িয়া কাহন গ্রামের ফিরোজ হোসেনের ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে মাদরাসা থেকে ফেরার পথে একই গ্রামের মকবুল হোসেনর ছেলে আসাদ বন্ধুদের সহযোগীতায় অপরহরণ করে। পরে ফিরোজ মেয়েকে না পেয়ে ২৫ এপ্রিল সাঁথিয়া থানায় জিডি করেন। পরে পুলিশ জিডি মূলে গত ১লা মে আসাদের মামার বাড়ি উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। পরে মেয়েটি তার পরিবারকে জানায় তাকে গাজীপুরে নিয়ে আসাদের বড় ভাইয়ের বাসায় ৮দিন রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসাদ। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা ফিরোজ বাদী হয়ে পাবনা নারী ও শিশু আদালতে আসাদকে প্রধান করে ৫জন নামীয় আসামীর বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর থেকে আসামী পক্ষ তাদেরকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেস্টা করছে। তাদের ধারণা‘ এরই ধারাবাহিকতায় হাড়িয়া কাহন গ্রামের অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামী শিমুল, আসাদ, মকবুল, আমিরুল, হামিম গংরা তাদের বসত ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেয়। এ ঘটনায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার বাদীর ছোট ভাই এর স্ত্রী সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান বলেন, আদালতে মামলার বিষয় শুনেছি। আগুনের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্র্র্র্র্রহণ করা হবে।
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিবেদক 


















