
পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের ইনসান আলীর ছেলে সোহাগ একজন মৃগী রোগী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। ইতোমধ্যে বাবা-মা দুজনেই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। অসহায় সোহাগ স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে পরেছে বিপাকে। সোহাগ ধার দেনা করে অনেক কষ্টে রেলওয়ের দুই কাঠা জমির দখল ক্রয় করলেও সেখানে মাথা গোজার ঠাঁই ঘর বানানোর সামর্থ্য নেই তার। কয়েকটি খুঁটি পুতে রেখে টিনের অভাবে মাথা গোজার ঠাঁইটুকু করতে পারছেন না। সু হৃদয়বান সামর্থ্যশীল মানুষেরা এগিয়ে এলে প্রতিবন্ধী সোহাগের মাথা গোজার ঠাঁইটুকু করা সম্ভব।
সোহাগ বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার মৃগী রোগ রয়েছে, সেই সাথে শারীরিক দুর্বলতা আছে। বাবা-মা বেঁচে থাকতে তাদের সাধ্য অনুযায়ি সহযোগিতা করতেন। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর বড় ভাই আমার পরিবারের সকলকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে প্রতিবেশী একজন সহযোগিতা করে একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেছিল।তাদের ঘরের প্রয়োজন হওয়াতে আমি পড়েছি বিপাকে। মানুষের থেকে সহযোগিতা নিয়ে রেলের পরিত্যাক্ত ২ কাঠা জায়গার দখল ক্রয় করেছি। সেখানে ঘর করার মতো আমার সামর্থ্য নেই।
সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে আমার মাথা গোজার ঠাঁইটুকু করা সম্ভব। আমি বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।
ঈশ্বরদী বাজারের ব্যবসায়ি জালালউদ্দিন বলেন, সোহাগ একজন মৃগী রোগী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। সামর্থ্যবান লোকেরা এগিয়ে এলে ওর মাথা গোজার ঠাঁই টুকু তৈরি করা সম্ভব। আমি সোহাগের জন্য অনুদান হিসাবে একবান টিন দেয়ার ঘোষণা করছি। ঈশ্বরদী বাজারে অনেক ধনী ব্যবসায়ি রয়েছে, তাদের মধ্য থেকে কিছু মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়ালেই মৃগী রোগী সোহাগের মাথা গোজার ঠাঁই টুকু তৈরি করা সম্ভব
আলমাস আলী, ঈশ্বরদি প্রতিবেদক 



















