ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা
প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭শ’ ৬৯টি গরু

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু প্রস্তুতে ব্যস্ত ভোলার খামারিরা

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ভোলার খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে দেশীয় খাবার খাইয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে কোরবানিযোগ্য গরু। যদিও পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে, তবুও ভালো লাভের আশা করছেন খামারিরা। পাশাপাশি, ভারতীয় গরুর আমদানিকে কেন্দ্র করে রয়েছে তাদের বাড়তি উদ্বেগ।
খামারিরা মনে করছেন, ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ হলে দেশীয় গরুর চাহিদা ও দাম উভয়ই বাড়বে, যা তাদের জন্য লাভজনক হবে। এদিকে কেমিক্যাল ব্যবহার করে গরু মোটাতাজাকরণ যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রাণিসম্পদ দপ্তর নিয়মিত মনিটরিং করছে।
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা, বাপ্তা ও রাজাপুরসহ বিভিন্ন এলাকার খামারে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোরবানির বাজারকে ঘিরে খামারিরা গরুর পরিচর্যা ও প্রাকৃতিক খাদ্য-যেমন : খৈল, কুটা, খাস ও দানাদার খাদ্য দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিবারের মতো এবারও স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় গরু বিক্রির আশায় খামারিরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
খামারি মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশীয় খাবার দিয়েই গরু মোটাতাজা করছি। যদিও এবার পশু খাদ্যের দাম বেশি, তবুও আশা করছি ভালো দাম পাব। মালেক নামে অপর খামারিরা জানান, পশুর পরিচর্যায় খরচ ও শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। তবে ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ না হলে তারা ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গরুর হাট ও খামারে আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। এবারের ঈদেও প্রতিটি পশুর হাটে ভেটেনারি টিম বসানো হবে, যাতে কেউ কেমিক্যাল ব্যবহার বা রোগাক্রান্ত গরু বিক্রি করতে না পারেন। তিনি আরো বলেন, এ বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য গরু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭শ’ ৬৯টি। যেখানে চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার ২শ’ ৫৩টি গরুর। সরাসরি হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও গরু ও ছাগল বিক্রির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত

প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭শ’ ৬৯টি গরু

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু প্রস্তুতে ব্যস্ত ভোলার খামারিরা

Update Time : ০৫:০১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ভোলার খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে দেশীয় খাবার খাইয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে কোরবানিযোগ্য গরু। যদিও পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে, তবুও ভালো লাভের আশা করছেন খামারিরা। পাশাপাশি, ভারতীয় গরুর আমদানিকে কেন্দ্র করে রয়েছে তাদের বাড়তি উদ্বেগ।
খামারিরা মনে করছেন, ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ হলে দেশীয় গরুর চাহিদা ও দাম উভয়ই বাড়বে, যা তাদের জন্য লাভজনক হবে। এদিকে কেমিক্যাল ব্যবহার করে গরু মোটাতাজাকরণ যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রাণিসম্পদ দপ্তর নিয়মিত মনিটরিং করছে।
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা, বাপ্তা ও রাজাপুরসহ বিভিন্ন এলাকার খামারে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোরবানির বাজারকে ঘিরে খামারিরা গরুর পরিচর্যা ও প্রাকৃতিক খাদ্য-যেমন : খৈল, কুটা, খাস ও দানাদার খাদ্য দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিবারের মতো এবারও স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় গরু বিক্রির আশায় খামারিরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
খামারি মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশীয় খাবার দিয়েই গরু মোটাতাজা করছি। যদিও এবার পশু খাদ্যের দাম বেশি, তবুও আশা করছি ভালো দাম পাব। মালেক নামে অপর খামারিরা জানান, পশুর পরিচর্যায় খরচ ও শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। তবে ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ না হলে তারা ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গরুর হাট ও খামারে আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। এবারের ঈদেও প্রতিটি পশুর হাটে ভেটেনারি টিম বসানো হবে, যাতে কেউ কেমিক্যাল ব্যবহার বা রোগাক্রান্ত গরু বিক্রি করতে না পারেন। তিনি আরো বলেন, এ বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য গরু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭শ’ ৬৯টি। যেখানে চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার ২শ’ ৫৩টি গরুর। সরাসরি হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও গরু ও ছাগল বিক্রির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।