
রাজশাহীর বাগমারায় গোয়াল ঘরে অগ্নিকান্ডে চারটি গরুসহ ছাগল ও হাঁসমুরগী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমন ঘটনায় প্রায় পাগল হয়ে গেছেন গরুর মালিক আহম্মেদ আলী ও মিঠু রহমান। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দুই কৃষক আহম্মেদ আলী ও মিঠু রহমানের ৮/১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছেন বলে তারা দাবী করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্র জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৩মে) সন্ধ্যায় প্রতি দিনের মত তারা রাতের খাবার শেষে তাদের বাড়ীর পাশের আলাদা দুটি গোয়াল ঘরে ৮ টি গরু, ৪টি ছাগল ও কিছু হাঁস ও মুরগি রেখে বাড়ীর সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে গরুর চিৎকার ও ছট ফটানির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় বাড়ির মালিক আহম্মদ আলীর। ঘুম থেকে উঠে দেখে গোয়ালঘর দুটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
আহম্মদ আলীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা আগুন নিভানোর জন্য এগিয়ে আসেন। আগুন নিভানোর পূর্বেই গোয়ালঘরে থাকা ৮টি গরুর মধ্যে চারটি গরু ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যায় এবং চারটি গরু আগুনে দগ্ধ হয়। স্থানীয়দের ধারণা মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে । অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সর্বশ্বান্ত হয়েছে পরিবার দুইটি। এমন ঘটনায় বার বার বিলাপ করে কাঁদছিলেন পরিবারের লোকজন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। তারা পরিবার দুইটিকে এমন ঘটনার জন্য গভীর সমবেদনা জানান এবং ক্ষতি পুশিয়ে নিতে সরকারী ভাবে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেই জন্য এলাকার লোকজনকে সচেতনমূলক কথা বার্তা বলেছি। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দুইটিকে সরকারী ভাবে সহযোগীতা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।#
বাগমারা প্রতিবেদক 



















