
কুষ্টিয়ায় বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের (পরকিয়া) অভিযোগে সৃষ্ট পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মেঘলা খাতুনকে (৩০) বটিদিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর দুই শিশুকন্যা কুলসুম (৪) ও জান্নাতকে (২)কে আছরে ফেলে হত্যা চেষ্টার পর নিজের ব্যবহৃত বটি দিয়ে তার গলায় কোপ বসিয়ে আত্বহত্যার চেষ্টা করেছে মামুন নামের এক যুবক। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুরে নিজ বাড়িতে এঘটনা ঘটে। মামুন স্থানীয় বাসিন্দা নবিউলের ছেলে এবং পেশায় তিনি রং মিস্ত্রি।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, মামুনের স্ত্রী মেঘলা খাতুন অপর এক যুবকের সাথে সম্পর্ক চর্চা করতো। কিছুদিন পূর্বে ওই যুবকের সাথে মেঘলা ঢাকায় গিয়েছিলো। কিছুদিন ঢাকায় থেকে মেঘলা আবারও তার স্বামী মামুনের বাড়ীতে ফিরে আসে। এরই জেরে দুজনের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার রাতে স্বামীর সাথে ঝগড়া ও বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে স্বামী মামুন স্ত্রী মেঘলাকে বটি দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে।
পরে দুই শিশু কন্যা কুলসুম ও জান্নাতকে উচু থেকে মাটিতে আছারে মেরে হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে নিজের হাতে থাকা বটি দিয়ে মামুন নিজের ঘাড়ে ও গলাই কুপিয়ে আত্বহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাদের ৪জনকেই উদ্ধার করে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় স্ত্রী মেঘলা খাতুনকে মৃত ঘোষনা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: রাজীব হাসান বলেন, গত রাত সাড়ে ৯টার দিতে দুইজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম এবং দুইজন কন্যা শিশু অচেতন ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেঘলা নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। অপর ৩জন আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে বিবদমান কলহের জেরে স্ত্রী হত্যাকান্ড এবং শিশু হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ওই যুবক দুই কন্যা শিশুকে হত্যা চেষ্টার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।
কুাষ্টয়া প্রতিবেদক 



















