
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক বক্তব্যে দাবি করেছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাল্টা হামলায় অন্তত ৫০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শত্রু কাপুরুষের মতো অন্ধকারে হামলা চালিয়েছিল, কিন্তু আমাদের বাহিনী উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে গর্ব করেছিল, হুমকি দিয়েছিল যেকোনো কিছু করতে, কিন্তু আজ তারা অপমান আর লজ্জার মুখে পড়েছে। পাকিস্তানি বাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, ধ্বংস করেছে একটি ব্রিগেড সদরদপ্তর। শুধু বিমানই নয়, ভারতের অহংকারও মাটিতে পড়ে গেছে।’
আতাউল্লাহ তারার আরও দাবি করেন, পাকিস্তানি সেনারা এলওসিতে ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে এবং ভারত এখনও নিহতদের মরদেহ সংগ্রহ করছে। তিনি জানান, পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলার জন্য মোতায়েন করা ২৫টি ইসরায়েলি হারোপ ড্রোনও গুলি করে নামানো হয়েছে।
‘ভারতের এই হামলা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে। এবার আর শুধু চা নয়, আমরা চা পৌঁছে দেব তোমাদের দরজায়,’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।ভারতের করা অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে আতাউল্লাহ বলেন, ‘ভারতের একটি ড্রোন নিজ দেশে একটি গুরুদ্বারে পড়েছে। মোদি সরকার পাকিস্তানবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে নিজের দেশেই সংখ্যালঘু শিখদের টার্গেট করছে।’
এদিকে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ভারতীয় ২৫টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে এবং এই ড্রোন হামলায় একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও একজন আহত হয়েছে। আইএসপিআর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, ভারতীয় ড্রোনগুলো লাহোর, গুজরানওয়ালা, রাওয়ালপিন্ডি, আটক, বহাওয়ালপুর ও করাচিতে হামলার চেষ্টা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘গতরাতেও ভারত আবারও আগ্রাসনের পথ বেছে নিয়েছে, কিন্তু আমরা যথাযথভাবে জবাব দিয়েছি।’