ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার Logo পাবনা-৩ আসনে বিএনপির জনসমুদ্রে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু

কানাডার ভোটে লিবারেলদের এগিয়ে থাকার ইঙ্গিত

কানাডায় কনজারভেটিভ দলের ক্ষমতায় ফিরে আসার স্বপ্ন ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে জরিপে দেখা এক জরিপে দেখা গেছে যে, ভোটাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে লিবারেলদেরই দেখছেন।

মন্ট্রিল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য যুদ্ধ কয়েক হাজার কানাডিয়ান কর্মসংস্থানের হুমকির মুখে ফেলেছে। উত্তরের প্রতিবেশী দেশ কানাডাকে ৫১তম রাজ্যে পরিণত করার জন্য দেয়া তার বক্তব্য, টোরিদের জয়ের সম্ভাবনা উল্টে দিয়েছে।

জাস্টিন ট্রুডো অজনপ্রিয় হয়ে ওঠায় গত মাসে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মার্ক কার্নি। লিবারেল নেতা ও প্রধানমন্ত্রী কার্নি যুক্তি দিয়েছেন, কানাডা ও ব্রিটেন দুটি জি-৭ অর্থনীতির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাকে ট্রাম্প-প্ররোচিত অর্থনৈতিক ঝড়ের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যথার্থ প্রার্থী করে তুলেছে।

২৮ এপ্রিলের ভোটের আগে প্রচারণা ভোটারদের আগ্রহ বাড়িয়েছে এমন লক্ষণও রয়েছে।

গত সপ্তাহে টেলিভিশনে প্রচারিত বিতর্কগুলো আগের ভোটের তুলনায় বেশি রেটিং পেয়েছে। শুক্রবার প্রাথমিক ভোটের প্রথম দিনে প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ ভোট দিয়েছেন। ইলেকশনস কানাডা জানিয়েছে, এটি একটি রেকর্ড সংখ্যা।

মন্ট্রিলে ভোট দেওয়ার পর, ক্রিস্টিন বোনেনফ্যান্ট এএফপিকে বলেছেন, তিনি সেই দলকে সমর্থন করেছেন যারা তার দৃষ্টিতে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম চেষ্টা করবে’ ও ‘শান্তি’ ফিরিয়ে আনবে।

অবসরপ্রাপ্ত প্রার্থী আশা প্রকাশ করেছেন যে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি হবে।

ভোটার জোসি ফোর্নিয়ার বলেন, আমাদের দক্ষিণ প্রতিবেশীর পরিস্থিতির কারণে কানাডার ওপর আসন্ন বিপদের অশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

কানাডার বিদায়ী সংসদে পাঁচটি দলের আসন রয়েছে। এই নির্বাচন লিবারেল ও রক্ষণশীলদের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জরিপগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বামপন্থী নিউ ডেমোক্র্যাটস (এনডিপি), কুইবেক বিচ্ছিন্নতাবাদী ব্লক কুইবেকোয়া এবং বিশেষ করে গ্রিন পার্টি কানাডার নতুন প্রতিবেশী প্রতিকূল পরাশক্তির সাথে মোকাবিলা করার চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতায় আকর্ষণ অর্জন করতে লড়াই করেছে।

কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পোইলিভরে ট্রুডোর একজন কট্টর সমালোচক হিসেবে ব্যাপক সমর্থন তৈরি করেন।
কিন্তু ট্রুডোর পদত্যাগ, ট্রাম্পের হুমকি ও কার্নির জীবনবৃত্তান্তের সমন্বয়ে টোরি নেতা দুর্বল হয়ে পড়েছেন।

জরিপগুলো ধারাবাহিকভাবে দেখায় যে ভোটাররা বিশ্বাস করেন যে ৬০ বছর বয়সী কার্নি কানাডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।

পাবলিক ব্রডকাস্টার সিবিসির জরিপ সমষ্টি অনুসারে, ৬ জানুয়ারি, যেদিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন, লিবারেলরা কনজারভেটিভদের থেকে ২৪ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল।

রোববার পর্যন্ত, সিবিসির তথ্যে, লিবারেলদের সমর্থন ৪৩.৩ শতাংশ এবং টোরিদের ৩৮.৪ শতাংশ ছিল। তবে মার্জিন কাছাকাছি রয়ে গেছে এবং প্রতিযোগিতা এখনও কনজারভেটিভদের দিকেও ঝুঁকতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার প্রকাশনার সফলতা কামনা করলেন রোকেয়া রাজ্জাক জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার

কানাডার ভোটে লিবারেলদের এগিয়ে থাকার ইঙ্গিত

Update Time : ০৩:৫২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

কানাডায় কনজারভেটিভ দলের ক্ষমতায় ফিরে আসার স্বপ্ন ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে জরিপে দেখা এক জরিপে দেখা গেছে যে, ভোটাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে লিবারেলদেরই দেখছেন।

মন্ট্রিল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য যুদ্ধ কয়েক হাজার কানাডিয়ান কর্মসংস্থানের হুমকির মুখে ফেলেছে। উত্তরের প্রতিবেশী দেশ কানাডাকে ৫১তম রাজ্যে পরিণত করার জন্য দেয়া তার বক্তব্য, টোরিদের জয়ের সম্ভাবনা উল্টে দিয়েছে।

জাস্টিন ট্রুডো অজনপ্রিয় হয়ে ওঠায় গত মাসে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মার্ক কার্নি। লিবারেল নেতা ও প্রধানমন্ত্রী কার্নি যুক্তি দিয়েছেন, কানাডা ও ব্রিটেন দুটি জি-৭ অর্থনীতির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাকে ট্রাম্প-প্ররোচিত অর্থনৈতিক ঝড়ের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যথার্থ প্রার্থী করে তুলেছে।

২৮ এপ্রিলের ভোটের আগে প্রচারণা ভোটারদের আগ্রহ বাড়িয়েছে এমন লক্ষণও রয়েছে।

গত সপ্তাহে টেলিভিশনে প্রচারিত বিতর্কগুলো আগের ভোটের তুলনায় বেশি রেটিং পেয়েছে। শুক্রবার প্রাথমিক ভোটের প্রথম দিনে প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ ভোট দিয়েছেন। ইলেকশনস কানাডা জানিয়েছে, এটি একটি রেকর্ড সংখ্যা।

মন্ট্রিলে ভোট দেওয়ার পর, ক্রিস্টিন বোনেনফ্যান্ট এএফপিকে বলেছেন, তিনি সেই দলকে সমর্থন করেছেন যারা তার দৃষ্টিতে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম চেষ্টা করবে’ ও ‘শান্তি’ ফিরিয়ে আনবে।

অবসরপ্রাপ্ত প্রার্থী আশা প্রকাশ করেছেন যে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি হবে।

ভোটার জোসি ফোর্নিয়ার বলেন, আমাদের দক্ষিণ প্রতিবেশীর পরিস্থিতির কারণে কানাডার ওপর আসন্ন বিপদের অশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

কানাডার বিদায়ী সংসদে পাঁচটি দলের আসন রয়েছে। এই নির্বাচন লিবারেল ও রক্ষণশীলদের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জরিপগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বামপন্থী নিউ ডেমোক্র্যাটস (এনডিপি), কুইবেক বিচ্ছিন্নতাবাদী ব্লক কুইবেকোয়া এবং বিশেষ করে গ্রিন পার্টি কানাডার নতুন প্রতিবেশী প্রতিকূল পরাশক্তির সাথে মোকাবিলা করার চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতায় আকর্ষণ অর্জন করতে লড়াই করেছে।

কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পোইলিভরে ট্রুডোর একজন কট্টর সমালোচক হিসেবে ব্যাপক সমর্থন তৈরি করেন।
কিন্তু ট্রুডোর পদত্যাগ, ট্রাম্পের হুমকি ও কার্নির জীবনবৃত্তান্তের সমন্বয়ে টোরি নেতা দুর্বল হয়ে পড়েছেন।

জরিপগুলো ধারাবাহিকভাবে দেখায় যে ভোটাররা বিশ্বাস করেন যে ৬০ বছর বয়সী কার্নি কানাডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।

পাবলিক ব্রডকাস্টার সিবিসির জরিপ সমষ্টি অনুসারে, ৬ জানুয়ারি, যেদিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন, লিবারেলরা কনজারভেটিভদের থেকে ২৪ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল।

রোববার পর্যন্ত, সিবিসির তথ্যে, লিবারেলদের সমর্থন ৪৩.৩ শতাংশ এবং টোরিদের ৩৮.৪ শতাংশ ছিল। তবে মার্জিন কাছাকাছি রয়ে গেছে এবং প্রতিযোগিতা এখনও কনজারভেটিভদের দিকেও ঝুঁকতে পারে।