
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ডিসি হিলে প্রতিবছর বর্ষবরণের যে অনুষ্ঠান হয়, এবার হামলা ও মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনার পর সে অনুষ্ঠানটি হয়নি।
ডিসি হিলের এ অনুষ্ঠানটি চট্টগ্রামে বর্ষবরণের অন্যতম প্রধান আয়োজন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বিবেচিত হয়ে আসছিল।
সোমবার সকাল থেকেই ডিসি হিলে অবস্থান নিয়ে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ৪০/৫০ জনের একটি মিছিল নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে ডিসি হিলে মঞ্চ ও আশেপাশের চেয়ারটেবিল ভাঙচুর করে। সেই সময় তারা যে সব স্লোগান দেয় , তার মূল বক্তব্য ছিল, শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ডিসি হিলে নববর্ষের কোন অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না।
গত ৪৬ বছর ধরে সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের ব্যানারে এখানে বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হচ্ছে।
এই ঘটনার পর আয়োজকেরা গতকালই এবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ফলে এমন প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠানটি হয়নি।
কিন্তু সকাল থেকে অনেক সাধারণ মানুষ বৈশাখী সাজে ডিসি হিল এলাকায় জড়ো হলেও অনুষ্ঠান না হওয়ায় তারা ফিরে যান।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ষবরণ র্যালি বের করা হলেও সেখানে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম।
চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় শিরীষতলায় নববর্ষ উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হলেও এবারে তেমন লোক সমাগম হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সকাল ৮টায় জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের হয়ে ওয়াসা মোড় ঘুরে পুনরায় শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম 


















