ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা

মাত্র ৮ ঘণ্টার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন শাবনূর

ঢাকা : হুট করে মাত্র ৮ ঘণ্টার জন্য দেশে এসেছিলেন ঢালিউড তারকা শাবনূর। তিনি ফিরে যাওয়ার পর সে কথা জানাজানি হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও পরে বোঝা গেল, হুট করে কেন দেশে আসেন তিনি।

শাবনূর জানান, তার এবারের দেশে আসাটা অন্য সময়ের মতো ছিল না। অন্য সময় দেশে ফেরার খবরে আনন্দ থাকলেও এবার পুরোটা সময় কেটেছে অস্থিরতায়। অবস্থা এমন যে, যত দ্রুত ঢাকায় নামতে পারবেন, ততটাই মঙ্গল। অভিনেত্রী জানান, তার মা অসুস্থতায় ভুগছেন। আর এই কারণেই তাড়াহুড়ো করে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য দেশে এসেছেন।

গত ২৮ মার্চ ঢাকায় নেমেছেন শাবনূর। ৮ ঘণ্টা পর ফিরেও গেছেন। যা মিডিয়ার কেউ সেভাবে টেরও পায়নি। গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্প্রতি আলাপকালে এসব তথ্য জানান শাবনূর।

অভিনেত্রীর মা, ভাই-বোন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে বাংলাদেশে থাকছেন শাবনূরের মা। এরইমধ্যে তিনি মায়ের অসুস্থতার খবর পান। তাই এই ঝটিকা সফরে তাকে ঢাকায় আসতে হয়।

মায়ের অসুস্থতা প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এক মাস ধরে আম্মা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিনিয়ত ফোনে কথাবার্তা হচ্ছিল। ঢাকার বড় বড় হাসপাতালের ৩-৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই তারা আম্মার রোগ ধরতে পারছিলেন না। এদিকে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। একটা সময় বোঝা গেল, আম্মার নিউমোনিয়া হয়েছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি সমস্যা ছিল।

২৮ মার্চ তো এমন অবস্থা হয়েছিল, আম্মা কথা বলার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলেন। শ্বাসকষ্টে একদম কাবু হয়ে পড়েন। সেদিন আম্মার শারীরিক অবস্থাও জানতে পারছিলাম না। কারণ তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। আম্মার দেখাশোনার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তাকে শুধু বলেছি, আমি আসা পর্যন্ত আম্মার সঙ্গে থাকতে। আম্মাকে মানসিকভাবে শক্তি ও সাহস দিতে।’

মায়ের অসুস্থতা বাড়তে থাকায় সেদিনই বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন শাবনূর। যোগ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘এরপর টিকিট খোঁজা শুরু করি। সেদিন রাতেই অনেক কষ্টে টিকিট পেয়ে যাই। আমার বোন আর ভাইয়েরা বলছিল, এ অবস্থায় একা যেতে পারবা তো? তারা কেউ সঙ্গে আসবে নাকি? আমি বললাম, একাই যাব। কোনও সমস্যা হবে না। লাগেজ নিইনি, তাই কোনও কাপড়চোপড় নিইনি।

বলা যায়, এককাপড়েই উড়াল দিই। পাসপোর্ট, টিকিট ও একটা ব্যাকপ্যাক সঙ্গী করেই আমি বাসা থেকে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা হই। প্লেনের পুরোটা সময়, ট্রানজিটের সময়—কীভাবে যে কেটেছে, তা বলে বোঝাতে পারব না। আম্মার জন্য শুধু দোয়া করছিলাম।’

এবার এসে শাবনূর তার অসুস্থ মাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন। তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, চিকিৎসকেরা একের পর এক শুধু আম্মার টেস্ট করাতে বলছেন। একপর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও বলেন। কিন্তু এ অবস্থায় আমি কোনোভাবে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ভরসা পাচ্ছিলাম না।’

সবশেষে শাবনূর বলেন, ‘এরপরই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে এখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মা এখন পুরোপুরি সুস্থ।’

দৈনিক বার্তা /১০ এপ্রিল ২০২৫/ জেডআরসি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত

মাত্র ৮ ঘণ্টার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন শাবনূর

Update Time : ০৪:২৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা : হুট করে মাত্র ৮ ঘণ্টার জন্য দেশে এসেছিলেন ঢালিউড তারকা শাবনূর। তিনি ফিরে যাওয়ার পর সে কথা জানাজানি হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও পরে বোঝা গেল, হুট করে কেন দেশে আসেন তিনি।

শাবনূর জানান, তার এবারের দেশে আসাটা অন্য সময়ের মতো ছিল না। অন্য সময় দেশে ফেরার খবরে আনন্দ থাকলেও এবার পুরোটা সময় কেটেছে অস্থিরতায়। অবস্থা এমন যে, যত দ্রুত ঢাকায় নামতে পারবেন, ততটাই মঙ্গল। অভিনেত্রী জানান, তার মা অসুস্থতায় ভুগছেন। আর এই কারণেই তাড়াহুড়ো করে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য দেশে এসেছেন।

গত ২৮ মার্চ ঢাকায় নেমেছেন শাবনূর। ৮ ঘণ্টা পর ফিরেও গেছেন। যা মিডিয়ার কেউ সেভাবে টেরও পায়নি। গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্প্রতি আলাপকালে এসব তথ্য জানান শাবনূর।

অভিনেত্রীর মা, ভাই-বোন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে বাংলাদেশে থাকছেন শাবনূরের মা। এরইমধ্যে তিনি মায়ের অসুস্থতার খবর পান। তাই এই ঝটিকা সফরে তাকে ঢাকায় আসতে হয়।

মায়ের অসুস্থতা প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এক মাস ধরে আম্মা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিনিয়ত ফোনে কথাবার্তা হচ্ছিল। ঢাকার বড় বড় হাসপাতালের ৩-৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই তারা আম্মার রোগ ধরতে পারছিলেন না। এদিকে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। একটা সময় বোঝা গেল, আম্মার নিউমোনিয়া হয়েছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি সমস্যা ছিল।

২৮ মার্চ তো এমন অবস্থা হয়েছিল, আম্মা কথা বলার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলেন। শ্বাসকষ্টে একদম কাবু হয়ে পড়েন। সেদিন আম্মার শারীরিক অবস্থাও জানতে পারছিলাম না। কারণ তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। আম্মার দেখাশোনার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তাকে শুধু বলেছি, আমি আসা পর্যন্ত আম্মার সঙ্গে থাকতে। আম্মাকে মানসিকভাবে শক্তি ও সাহস দিতে।’

মায়ের অসুস্থতা বাড়তে থাকায় সেদিনই বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন শাবনূর। যোগ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘এরপর টিকিট খোঁজা শুরু করি। সেদিন রাতেই অনেক কষ্টে টিকিট পেয়ে যাই। আমার বোন আর ভাইয়েরা বলছিল, এ অবস্থায় একা যেতে পারবা তো? তারা কেউ সঙ্গে আসবে নাকি? আমি বললাম, একাই যাব। কোনও সমস্যা হবে না। লাগেজ নিইনি, তাই কোনও কাপড়চোপড় নিইনি।

বলা যায়, এককাপড়েই উড়াল দিই। পাসপোর্ট, টিকিট ও একটা ব্যাকপ্যাক সঙ্গী করেই আমি বাসা থেকে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা হই। প্লেনের পুরোটা সময়, ট্রানজিটের সময়—কীভাবে যে কেটেছে, তা বলে বোঝাতে পারব না। আম্মার জন্য শুধু দোয়া করছিলাম।’

এবার এসে শাবনূর তার অসুস্থ মাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন। তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, চিকিৎসকেরা একের পর এক শুধু আম্মার টেস্ট করাতে বলছেন। একপর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও বলেন। কিন্তু এ অবস্থায় আমি কোনোভাবে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ভরসা পাচ্ছিলাম না।’

সবশেষে শাবনূর বলেন, ‘এরপরই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে এখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মা এখন পুরোপুরি সুস্থ।’

দৈনিক বার্তা /১০ এপ্রিল ২০২৫/ জেডআরসি