ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা

নওগাঁয় মামাকে হত্যায় ভাগ্নের যাবজ্জীবন

নওগাঁয় মামাকে হত্যা করায় মো. বাবুল রহমান নামের একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে তার উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন জেলা দায়রা জজ মো. রোকনুজ্জামান। মামলাটি রাস্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর আবু জাহিদ মো. রফিকুল আলম ও আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. আব্দুল লতিফ।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাবুল রহমান জেলার সাপাহার থানার খেড়ন্দা গ্রামের মো. তমিজ উদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাবলু রহমান পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তার বাবা-মাকে বেশকিছু দিন ধরে হতে মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন। ওই ঘটনায় তার মা হালিমা খাতুন গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর বার বার নোটিশ করেও সে ইউনিয়ন পরিষদের শালিসে উপস্থিত না হওয়ায় তার অত্যাচার তার মা সহ্য করতে না পেরে শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং তাকে শাসন করার জন্য গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে তার ভাই ফয়েজ উদ্দিনকে তার বাড়ীতে আসতে বলেন। এরপর তার বাবাসহ তার ফুফাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আসাদুল ইসলামকে নিয়ে গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে বিকাল অনুমান ৪ টায় তার ফুপুর বাড়ীতে যায়। এসময় বাদীর ফুফু-ফুফা (আসামীর পিতা-মাতা) এবং অন্যরা আপোষ মিমাংসার আলোচনা করতে থাকেন। এর একপর্যায়ে সে উত্তেজিত হয়ে তার শয়নঘর হতে একটি লোহার রড নিয়ে এসে ফয়েজ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাক্ষীদের সামনে রড দিয়ে মাথার মাঝখানে স্বজোরে আঘাত করে। সেই আঘাতের ফলে বাদীর বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়।

সে সময় তারা ভিকটিমকে নিয়ে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে গত ২৫ মে সন্ধ্যা সোয়া ৬ সময় সময় রাজশাহীর সিডিএম হসপিটালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ মে রাত সাড়ে ১২ টার সময় সে মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর আবু জাহিদ মোঃ রফিকুল আলম বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে পেনাল কোর্ট এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় উল্লেখিত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে আসামীপক্ষের আইনজীবী মোঃ আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত

নওগাঁয় মামাকে হত্যায় ভাগ্নের যাবজ্জীবন

Update Time : ১২:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

নওগাঁয় মামাকে হত্যা করায় মো. বাবুল রহমান নামের একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে তার উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন জেলা দায়রা জজ মো. রোকনুজ্জামান। মামলাটি রাস্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর আবু জাহিদ মো. রফিকুল আলম ও আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. আব্দুল লতিফ।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাবুল রহমান জেলার সাপাহার থানার খেড়ন্দা গ্রামের মো. তমিজ উদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাবলু রহমান পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তার বাবা-মাকে বেশকিছু দিন ধরে হতে মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন। ওই ঘটনায় তার মা হালিমা খাতুন গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর বার বার নোটিশ করেও সে ইউনিয়ন পরিষদের শালিসে উপস্থিত না হওয়ায় তার অত্যাচার তার মা সহ্য করতে না পেরে শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং তাকে শাসন করার জন্য গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে তার ভাই ফয়েজ উদ্দিনকে তার বাড়ীতে আসতে বলেন। এরপর তার বাবাসহ তার ফুফাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আসাদুল ইসলামকে নিয়ে গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে বিকাল অনুমান ৪ টায় তার ফুপুর বাড়ীতে যায়। এসময় বাদীর ফুফু-ফুফা (আসামীর পিতা-মাতা) এবং অন্যরা আপোষ মিমাংসার আলোচনা করতে থাকেন। এর একপর্যায়ে সে উত্তেজিত হয়ে তার শয়নঘর হতে একটি লোহার রড নিয়ে এসে ফয়েজ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাক্ষীদের সামনে রড দিয়ে মাথার মাঝখানে স্বজোরে আঘাত করে। সেই আঘাতের ফলে বাদীর বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়।

সে সময় তারা ভিকটিমকে নিয়ে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে গত ২৫ মে সন্ধ্যা সোয়া ৬ সময় সময় রাজশাহীর সিডিএম হসপিটালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ মে রাত সাড়ে ১২ টার সময় সে মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর আবু জাহিদ মোঃ রফিকুল আলম বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে পেনাল কোর্ট এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় উল্লেখিত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে আসামীপক্ষের আইনজীবী মোঃ আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।