ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘জিহাদি ফতোয়া’ জারি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই (জিহাদ) করতে বিশ্বের সব মুসলিম ও মুসলিম প্রধান দেশগুলোর জন্য ‘ফতোয়া’ জারি করেছেন খ্যাতিমান বেশ কয়েকজন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব। গত ১৭ মাস ধরে ফিলিস্তিনে নারকীয় হত্যাযজ্ঞা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার জায়োনবাদী গোষ্ঠীটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমন ফতোয়া জারি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই।

এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়নের (আইইউএমএস) মহাসচিব আলী আল-কারদাঘি শুক্রবার (০৪ এপ্রিল) মুসলিমদের উদ্দেশ্যে জারি করা ফতোয়ায় বলেন, ‘গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করুন।’

আলী আল-কারদাঘির আগে এ সংস্থাটির প্রধান ছিলেন প্রখ্যাত ও প্রভাবশালী ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসুফ আল-কারদভী।

১৫ ধারার এ ফতোয়ায় আলী আল-কারদাঘি আরও বলেছেন, ‘গাজা ধ্বংস হওয়ার সময়ও আরব ও ইসলামিক বিশ্বের সরকারের ব্যর্থতা, ইসলামিক আইন অনুযায়ী, আমাদের গাজার নির্যাতিত ভাইদের প্রতি বড় অন্যায়।’

আলী আল-কারদাঘি মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে সম্মানিত স্কলারদের একজন। বিশ্বব্যাপী থাকা ১৭০ কোটি সুন্নি মুসলিমের মধ্যে তার এ ফতোয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

তিনি ফতোয়ায় আরও বলেছেন, ‘গাজার মুসলমানদের নির্মূলে শত্রুরা (ইসরায়েল) যা কারছে সেটিকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যাবে না। ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা যাবে না। সুয়েজ খাল, বাব আল-মান্দাব, হরমুজ প্রণালী, অথবা অন্য কোনো স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথ দিয়ে তাদের অস্ত্র পরিবহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’

এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল এবং সমুদ্র পথে অবরোধ আরোপের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তার এ ফতোয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন আরও ১৪ জন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব।

তারা বলেছেন, যেসব মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের ‘শান্তি চুক্তি’ আছে সেগুলো যেন পুনর্বিবেচনা বা পর্যালোচনা করা হয়। এরমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়ে যেন তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে বাধ্য হন।

ফতোয়া হলো একটি ইসলামিক (নন-বাইন্ডিং) নির্দেশনা। যেটি বড় আলেম বা ইসলামিক ব্যক্তিত্বরা জারি করে থাকেন। সাধারণত কোরআন অথবা সুন্নাহর ভিত্তিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

দৈনিক বার্তা / ০৫ এপ্রিল ২০২৫/ জেডআরসি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘জিহাদি ফতোয়া’ জারি

Update Time : ০৬:১৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই (জিহাদ) করতে বিশ্বের সব মুসলিম ও মুসলিম প্রধান দেশগুলোর জন্য ‘ফতোয়া’ জারি করেছেন খ্যাতিমান বেশ কয়েকজন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব। গত ১৭ মাস ধরে ফিলিস্তিনে নারকীয় হত্যাযজ্ঞা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার জায়োনবাদী গোষ্ঠীটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমন ফতোয়া জারি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই।

এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়নের (আইইউএমএস) মহাসচিব আলী আল-কারদাঘি শুক্রবার (০৪ এপ্রিল) মুসলিমদের উদ্দেশ্যে জারি করা ফতোয়ায় বলেন, ‘গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করুন।’

আলী আল-কারদাঘির আগে এ সংস্থাটির প্রধান ছিলেন প্রখ্যাত ও প্রভাবশালী ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসুফ আল-কারদভী।

১৫ ধারার এ ফতোয়ায় আলী আল-কারদাঘি আরও বলেছেন, ‘গাজা ধ্বংস হওয়ার সময়ও আরব ও ইসলামিক বিশ্বের সরকারের ব্যর্থতা, ইসলামিক আইন অনুযায়ী, আমাদের গাজার নির্যাতিত ভাইদের প্রতি বড় অন্যায়।’

আলী আল-কারদাঘি মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে সম্মানিত স্কলারদের একজন। বিশ্বব্যাপী থাকা ১৭০ কোটি সুন্নি মুসলিমের মধ্যে তার এ ফতোয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

তিনি ফতোয়ায় আরও বলেছেন, ‘গাজার মুসলমানদের নির্মূলে শত্রুরা (ইসরায়েল) যা কারছে সেটিকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যাবে না। ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা যাবে না। সুয়েজ খাল, বাব আল-মান্দাব, হরমুজ প্রণালী, অথবা অন্য কোনো স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথ দিয়ে তাদের অস্ত্র পরিবহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’

এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল এবং সমুদ্র পথে অবরোধ আরোপের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তার এ ফতোয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন আরও ১৪ জন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব।

তারা বলেছেন, যেসব মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের ‘শান্তি চুক্তি’ আছে সেগুলো যেন পুনর্বিবেচনা বা পর্যালোচনা করা হয়। এরমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়ে যেন তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে বাধ্য হন।

ফতোয়া হলো একটি ইসলামিক (নন-বাইন্ডিং) নির্দেশনা। যেটি বড় আলেম বা ইসলামিক ব্যক্তিত্বরা জারি করে থাকেন। সাধারণত কোরআন অথবা সুন্নাহর ভিত্তিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

দৈনিক বার্তা / ০৫ এপ্রিল ২০২৫/ জেডআরসি