ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার Logo ৫৭ বছরেও শেবাচিমে চালু হয়নি নিউরো ওয়ার্ড, স্ট্রোকের রোগীদের চরম ভোগান্তি Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত

গাজায় ১০ দিনে ৩২২ শিশুকে হত্যা: ইউনিসেফ

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের গাজায় নতুন করে শুরু করা আক্রমণে গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৩২২ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো ৬০৯ জন শিশু।

সোমবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। খবর আরব নিউজের।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ২৩ মার্চ দক্ষিণ গাজার আল নাসের হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে হামলায় শিশুদের হতাহতের ঘটনা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বোমা হামলার শিকার শিশুদের বেশিভাগই বাস্তুচ্যুত হয়ে অস্থায়ী তাঁবুতে বা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।

এর আগে, হামাসের সঙ্গে প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে গাজায় গত ১৮ মার্চ তীব্র বোমাবর্ষণ পুনরায় শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় আহত ও নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই শিশু।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেছেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি শিশুদের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জীবনরেখা এবং তাদের পুনরুদ্ধারের পথের আশার বাণী। কিন্তু শিশুদের আবারো মারাত্মক সহিংসতা এবং বঞ্চনার চক্রে নিমজ্জিত করা হলো।’ এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষার জন্য সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৮ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি এবং প্রায় ১০ লক্ষ শিশু বাস্তুচ্যুত ও মৌলিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই ইসরায়েলের প্রতি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং উভয়পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

ইউনিসেফ বলছে, খাদ্য, নিরাপদ পানি, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবা ক্রমশ দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে গাজায়। এই প্রয়োজনীয় সরবরাহ ছাড়া অপুষ্টি, রোগ এবং অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য পরিস্থিতি সম্ভবত বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এমন সময় চুপ করে দাঁড়িয়ে শিশুদের হত্যা এবং দুর্ভোগ অব্যাহত রাখতে দেওয়া উচিত নয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্কয়ার ফার্মারর বিরুদ্ধে ডোজ প্রতারণা ও রিপ্যাকিংয়ের অভিযোগে প্রেস কনফারেন্স শনিবার

গাজায় ১০ দিনে ৩২২ শিশুকে হত্যা: ইউনিসেফ

Update Time : ১২:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের গাজায় নতুন করে শুরু করা আক্রমণে গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৩২২ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো ৬০৯ জন শিশু।

সোমবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। খবর আরব নিউজের।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ২৩ মার্চ দক্ষিণ গাজার আল নাসের হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে হামলায় শিশুদের হতাহতের ঘটনা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বোমা হামলার শিকার শিশুদের বেশিভাগই বাস্তুচ্যুত হয়ে অস্থায়ী তাঁবুতে বা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।

এর আগে, হামাসের সঙ্গে প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে গাজায় গত ১৮ মার্চ তীব্র বোমাবর্ষণ পুনরায় শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় আহত ও নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই শিশু।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেছেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি শিশুদের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জীবনরেখা এবং তাদের পুনরুদ্ধারের পথের আশার বাণী। কিন্তু শিশুদের আবারো মারাত্মক সহিংসতা এবং বঞ্চনার চক্রে নিমজ্জিত করা হলো।’ এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষার জন্য সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৮ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি এবং প্রায় ১০ লক্ষ শিশু বাস্তুচ্যুত ও মৌলিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই ইসরায়েলের প্রতি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং উভয়পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

ইউনিসেফ বলছে, খাদ্য, নিরাপদ পানি, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবা ক্রমশ দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে গাজায়। এই প্রয়োজনীয় সরবরাহ ছাড়া অপুষ্টি, রোগ এবং অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য পরিস্থিতি সম্ভবত বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এমন সময় চুপ করে দাঁড়িয়ে শিশুদের হত্যা এবং দুর্ভোগ অব্যাহত রাখতে দেওয়া উচিত নয়।