
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচল সংকট দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) দেশটির ভেতরে, আসা-যাওয়া মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
পাশাপাশি প্রায় ৬ হাজার ফ্লাইট বিলম্বে পড়েছে বলে জানিয়েছে ফ্লাইট ট্র্যাকার ফ্লাইটঅ্যাওয়ার। সরকারি অচলাবস্থার কারণে এই সপ্তাহে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বিমান চলাচল ১০ শতাংশ পর্যন্ত সীমিত করার নির্দেশ দেয়। কারণ, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা বেতন ছাড়াই কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
অচলাবস্থা শুরু হয় ১ অক্টোবর থেকে। শনিবার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ এই শাটডাউনের ৩৯তম দিন। এখন পর্যন্ত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে সরকার পুনরায় চালুর অর্থায়ন নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি।
সপ্তাহান্তে সিনেটররা ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। দলমত নির্বিশেষে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে খাদ্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বিমান চলাচলে বিঘ্নের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা ওয়াশিংটনের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করছি অবিলম্বে সমাধানে পৌঁছান এবং শাটডাউন শেষ করুন।
নিউ জার্সির নিউয়ার্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে শনিবার বিকেল পর্যন্ত আগত ফ্লাইটের গড় বিলম্ব ছিল ৪ ঘণ্টার বেশি, আর প্রস্থান ফ্লাইটে দেড় ঘণ্টা।
সবচেয়ে বেশি বাতিল ফ্লাইট ছিল শার্লট/ডগলাস ইন্টারন্যাশনাল, নিউয়ার্ক লিবার্টি ও শিকাগো ও’হেয়ার ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে।
এফএএর তথ্যমতে, জন এফ কেনেডি ইন্টারন্যাশনাল, হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা ইন্টারন্যাশনাল ও লা গার্ডিয়া বিমানবন্দরে গড় বিলম্ব ছিল যথাক্রমে প্রায় ৩ ঘণ্টা, আড়াই ঘণ্টা ও ১ ঘণ্টা।
আগামী ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং ছুটি সামনে রেখে এটি বছরের অন্যতম ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুম। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 






















