পাবনা বেড়া পৌর এলাকার শেখপাড়া মহল্লার গোলজার হোসেন (৫০) নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবেশি ছয় বছর বয়সি এক শিশুকে দশ টাকার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি ধর্ষকের বাড়িঘরে ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক কে এলাকাবাসি আটক করে বেড়া মডেল থানায় হস্তান্তর করেছেন বলে জানা গেছে। ধর্ষক বেড়া শেখ পাড়া মহল্লার মৃত্য সুলতান শেখ এর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধা ছয়টার দিকে বেড়া পৌর এলাকার শেখপাড়া মহল্লায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি ইফতারের আগ মূহূর্তে ধর্ষকের বাড়ির পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় আশেপাশে কোন লোকজন না থাকায় শিশুটিকে দশ টাকার লোভ দেখিয়ে তার বাড়ির একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় তিনি শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। একপর্যায়ে শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতন করেন।
পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনা বললে পরিবারে লোকজন শিশুটিকে দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি হলে পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটি সন্ধার পর জানাজানি হলে এলাকাবাসি ধর্ষকের বাড়িঘরে ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তাহমিনা সুলতানা নীলা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে আহত অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত টিকিৎসক দেখতে পায় শিশুটির যৌনাঙ্গ ও পাযুপথ দিয়ে ধর্ষণে চেষ্টা করা হয়েছিল। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়াতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ওলিউর রহমান ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এলাকাবাসির সহায়তায় অভিযুক্ত ধর্ষক গোলজার হোসেনকে আটক করা হয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বিক্ষুব্দ জনতা ধর্ষকের বাড়িঘর ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে । ধর্ষককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।