ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
ওয়াশিংটনে বাজেট নিয়ে অচলাবস্থা

ফেডারেল সরকারের শাটডাউন গড়ালো চতুর্থ সপ্তাহে

আমেরিকার ফেডারেল সরকারের শাটডাউন চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। বাজেট পাসের জন্য সিনেটে ১২ দফা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এর ফলে এবারও বাজেট বিল পাস হয় নি।

আমেরিকার সিনেট আবারও প্রতিনিধি পরিষদের অনুমোদিত বাজেট বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে, যার ফলে ফেডারেল সরকার পুনরায় চালু করার ১২ দফা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

মার্কিন গণমাধ্যম দ্য হিল’র বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারের এই দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা এখন এক সংকটপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং রিপাবলিকান নেতারা প্রকাশ্যেই বলছেন এই অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রক্রিয়াগত বড় পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে।

রিপাবলিকানদের একটি অংশ এখন “ফিলিবাস্টার” (বিল পাস বিলম্ব বা সময়ক্ষেপণ কৌশল) আইনটি পরিবর্তন বা বাতিল করার চেষ্টা করছে, যাতে ৬০ ভোটের প্রয়োজন ছাড়াই স্বল্পমেয়াদি বাজেট বিল পাস করা যায়।

দ্য হিল আরও লিখেছে, যেহেতু ডেমোক্র্যাটরা তাদের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত দাবিতে অনড়, সে কারণে রিপাবলিকানরা এখন একটি “বিকল্প পরিকল্পনা” বা “প্ল্যান বি” নিয়ে ভাবছে।

ফেডারেল সরকারের এই অচলাবস্থা এখন আধুনিক আমেরিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম বাজেট সংকটজনিত শাটডাউন হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিনব্যাপী শাটডাউন ছিল।

এবারও ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা একে অপরকে এই অচলাবস্থার জন্য দোষারোপ করছে। এদিকে এর বাস্তব প্রভাবও ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে—সরকারি সহায়তা কর্মসূচির তহবিল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফুরিয়ে যেতে পারে, যা নিম্নআয়ের মানুষের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।

এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ফেডারেল কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না। যদিও এক বিচারক সাময়িকভাবে গণছাঁটাই স্থগিত করেছেন, তবে সেই আশঙ্কা এখনো রয়েছে। ফেডারেল চুক্তির ওপর নির্ভরশীল অনেক ছোট ব্যবসা কাজের সময় কমাতে বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা

ওয়াশিংটনে বাজেট নিয়ে অচলাবস্থা

ফেডারেল সরকারের শাটডাউন গড়ালো চতুর্থ সপ্তাহে

Update Time : ০৭:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

আমেরিকার ফেডারেল সরকারের শাটডাউন চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। বাজেট পাসের জন্য সিনেটে ১২ দফা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এর ফলে এবারও বাজেট বিল পাস হয় নি।

আমেরিকার সিনেট আবারও প্রতিনিধি পরিষদের অনুমোদিত বাজেট বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে, যার ফলে ফেডারেল সরকার পুনরায় চালু করার ১২ দফা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

মার্কিন গণমাধ্যম দ্য হিল’র বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারের এই দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা এখন এক সংকটপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং রিপাবলিকান নেতারা প্রকাশ্যেই বলছেন এই অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রক্রিয়াগত বড় পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে।

রিপাবলিকানদের একটি অংশ এখন “ফিলিবাস্টার” (বিল পাস বিলম্ব বা সময়ক্ষেপণ কৌশল) আইনটি পরিবর্তন বা বাতিল করার চেষ্টা করছে, যাতে ৬০ ভোটের প্রয়োজন ছাড়াই স্বল্পমেয়াদি বাজেট বিল পাস করা যায়।

দ্য হিল আরও লিখেছে, যেহেতু ডেমোক্র্যাটরা তাদের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত দাবিতে অনড়, সে কারণে রিপাবলিকানরা এখন একটি “বিকল্প পরিকল্পনা” বা “প্ল্যান বি” নিয়ে ভাবছে।

ফেডারেল সরকারের এই অচলাবস্থা এখন আধুনিক আমেরিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম বাজেট সংকটজনিত শাটডাউন হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিনব্যাপী শাটডাউন ছিল।

এবারও ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা একে অপরকে এই অচলাবস্থার জন্য দোষারোপ করছে। এদিকে এর বাস্তব প্রভাবও ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে—সরকারি সহায়তা কর্মসূচির তহবিল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফুরিয়ে যেতে পারে, যা নিম্নআয়ের মানুষের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।

এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ফেডারেল কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না। যদিও এক বিচারক সাময়িকভাবে গণছাঁটাই স্থগিত করেছেন, তবে সেই আশঙ্কা এখনো রয়েছে। ফেডারেল চুক্তির ওপর নির্ভরশীল অনেক ছোট ব্যবসা কাজের সময় কমাতে বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।