
দূরত্ব ভুলে সব রাজনৈতিক দলকে ভোটে অংশ নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অর্থবহ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে, সব কর্মকাণ্ড সংসদমুখী করা উচিত।
গতকাল দুপুরে পানি ভবনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সভা ও সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সংসদ ভবনের সামনের সংঘর্ষ অপ্রত্যাশিত, সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক জুলাই সনদে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করেছে, এটা অনন্য ঘটনা। এতে রাজনীতি স্বচ্ছ ও গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উন্নত করতে সহযোগিতা করবে।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হবে দেশ কী উদারপন্থি রাজনীতির দিকে যাবে, নাকি অন্যদিকে যাবে।
*ক্ষমতায় গেলে কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী*
আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যদি সুস্থ থাকেন এবং কাজ করার উপযোগী থাকেন, তাহলে তো তিনি হবেন। তার অনুপস্থিতিতে আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবেন। এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।’
নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিএনপির আস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট আস্থা আছে। আমরা এখন পর্যন্ত যা দেখেছি, আমি মনে করি যে তারা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবে।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রস্তুতি নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে—‘বিএনপি প্রস্তুত নয়’, ‘বিএনপিতে ক্যান্ডিডেট নেই’, ‘এখনো ক্যাম্পেনই শুরু করতে পারেনি’। এগুলো ঠিক না। বিএনপি সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘যখন ফ্যাসিজম ছিল, তখনও কিন্তু নির্বাচনে বিএনপি গেছে। ১৮-তে বিএনপি নির্বাচনে গেছে। এখন তো বিএনপি অনেক বেশি প্রস্তুত। বিএনপির তৃণমূলের পর্যায়ে নেতাকর্মীরা অনেক বেশি সজাগ ও একটিভ। জনগণের কাছে গিয়ে তারা দলের জন্য কাজ করছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা 



















