ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo বিএনপি অফিস ভাংচুর মামলায়  ছাত্রলীগ নেতা আটক   Logo দেশের চলমান সব সংকট নাটকের অংশ, মানুষ ভোট দিতে চায়: মির্জা ফখরুল Logo ধেয়ে আসছে মৌসুমের প্রথম কুয়াশা বেল্ট Logo ১৩ নভেম্বর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু

পাবনা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী তুহিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর আন্দোলনের ডাক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ১১ Time View

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিলেন চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা ও পাবনা-৩ এমপি পদপ্রার্থী সাবেক সংসদ কে. এম. আনোয়ার ইসলাম।

 

বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় প্রার্থী মনোনয়ন দাবিতে সাবেক সংসদ সদস্য কে. এম. আনোয়ারুল ইসলামের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন বিএনপি থেকে দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

 

আগামী শনিবার বিকালে পৌর শহরের বালুরচর মাঠে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশ ডাকেন বিএনপি থেকে

 মনোনয়ন প্রত্যাশী এই দুই নেতা।

 

জানা গেছে, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৩ আসনের মধ্যে সবচেয়ে ভোটার সংখ্যা বেশি চাটমোহর উপজেলায়। ভোটার সংখ্যা বেশি হলেও বিগত দিনগুলোতে এ উপজেলা থেকে কোনো এমপি পাননি উপজেলাবাসী। এতে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে আসছিল এই উপজেলার সাধারণ মানুষ। তবে ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর চাটমোহরবাসী স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন বিএনপি থেকে আগামী নির্বাচনে এই উপজেলাবাসী প্রার্থী পাবেন।

 

কিন্তু পাবনা-৩ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সুজানগরের সন্তান কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। এরপর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মী ও চাটমোহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। বিশেষ করে দুই হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি কেএম আনোয়ারুল ইসলাম ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরার অনুসারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

 

অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত হাসান জাফির তুহিনের সঙ্গে কাজ করলেও মন থেকে অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ক্ষোভ দেখা দেয় চাটমোহর উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

 

অন্যদিকে পাবনা-৩ আসনে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে ‘বহিরাগত’ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে ঘাড়ে চাপানোর বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে এবার মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিলেন দুই হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রার্থী বাতিল না করলে ভোটের সমীকরণে এ আসন হারানোর আশঙ্কা করছেন এলাকার অধিকাংশ বিএনপি নেতা।

 

জানতে চাইলে চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ’’কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন একজন কেন্দ্রীয় নেতা ও সুজানগরের বাসিন্দা। পাবনা-৩ এলাকার মানুষ তাকে চেনে না। দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে একজন বহিরাগত প্রার্থীকে এ আসনে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই এ আসনের জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিলাদ পড়াচ্ছেন, মিষ্টি বিতরণ করছেন। এতেই বোঝা যায়, জামায়াত কতটা খুশি হয়েছে এ ঘোষণায়।তিনি আরও বলেন, যে মানুষকে কেউ চেনে না, যার গ্রহণযোগ্যতা নেই এমন মানুষকে পাবনা-৩ এর মানুষ মেনে নেবে না। দল কী চায়? দলের কাছে একজন নেতা, নাকি একটি আসন জেতা বড়? তাই মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। আশা করি দলের হাইকমান্ড এই এলাকার মানুষের মনের ভাষা বুঝবে এবং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে।’’

 

সাবেক সংসদ সদস্য কে. এম. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,  “পাবনা-৩ আসনের মানুষের অনুভূতি ও দাবি উপেক্ষা করা যাবে না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলে দলকে সংগঠিত করেছি। দলীয় সিদ্ধান্তে স্থানীয় জনমতের প্রতিফলন থাকতে হবে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা

পাবনা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী তুহিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর আন্দোলনের ডাক

Update Time : ০৫:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিলেন চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা ও পাবনা-৩ এমপি পদপ্রার্থী সাবেক সংসদ কে. এম. আনোয়ার ইসলাম।

 

বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় প্রার্থী মনোনয়ন দাবিতে সাবেক সংসদ সদস্য কে. এম. আনোয়ারুল ইসলামের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন বিএনপি থেকে দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

 

আগামী শনিবার বিকালে পৌর শহরের বালুরচর মাঠে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশ ডাকেন বিএনপি থেকে

 মনোনয়ন প্রত্যাশী এই দুই নেতা।

 

জানা গেছে, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৩ আসনের মধ্যে সবচেয়ে ভোটার সংখ্যা বেশি চাটমোহর উপজেলায়। ভোটার সংখ্যা বেশি হলেও বিগত দিনগুলোতে এ উপজেলা থেকে কোনো এমপি পাননি উপজেলাবাসী। এতে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে আসছিল এই উপজেলার সাধারণ মানুষ। তবে ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর চাটমোহরবাসী স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন বিএনপি থেকে আগামী নির্বাচনে এই উপজেলাবাসী প্রার্থী পাবেন।

 

কিন্তু পাবনা-৩ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সুজানগরের সন্তান কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। এরপর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মী ও চাটমোহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। বিশেষ করে দুই হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি কেএম আনোয়ারুল ইসলাম ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরার অনুসারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

 

অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত হাসান জাফির তুহিনের সঙ্গে কাজ করলেও মন থেকে অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ক্ষোভ দেখা দেয় চাটমোহর উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

 

অন্যদিকে পাবনা-৩ আসনে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে ‘বহিরাগত’ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে ঘাড়ে চাপানোর বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে এবার মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিলেন দুই হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রার্থী বাতিল না করলে ভোটের সমীকরণে এ আসন হারানোর আশঙ্কা করছেন এলাকার অধিকাংশ বিএনপি নেতা।

 

জানতে চাইলে চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ’’কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন একজন কেন্দ্রীয় নেতা ও সুজানগরের বাসিন্দা। পাবনা-৩ এলাকার মানুষ তাকে চেনে না। দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে একজন বহিরাগত প্রার্থীকে এ আসনে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই এ আসনের জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিলাদ পড়াচ্ছেন, মিষ্টি বিতরণ করছেন। এতেই বোঝা যায়, জামায়াত কতটা খুশি হয়েছে এ ঘোষণায়।তিনি আরও বলেন, যে মানুষকে কেউ চেনে না, যার গ্রহণযোগ্যতা নেই এমন মানুষকে পাবনা-৩ এর মানুষ মেনে নেবে না। দল কী চায়? দলের কাছে একজন নেতা, নাকি একটি আসন জেতা বড়? তাই মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। আশা করি দলের হাইকমান্ড এই এলাকার মানুষের মনের ভাষা বুঝবে এবং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে।’’

 

সাবেক সংসদ সদস্য কে. এম. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,  “পাবনা-৩ আসনের মানুষের অনুভূতি ও দাবি উপেক্ষা করা যাবে না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলে দলকে সংগঠিত করেছি। দলীয় সিদ্ধান্তে স্থানীয় জনমতের প্রতিফলন থাকতে হবে।”