
বোহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর মধ্যবর্তী চরলতিফের অসহায় হাজারো মানুষ স্থানীয় জলদস্যু বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে। বিগত সরকারের আমলের লাঠিয়াল ও জলদস্যুরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। এসব বাহিনীর কাছ থেকে রেহাই চায় ভুক্তভোগীরা।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার গংগাপুর ইউনিয়নের চর লতিফ চরে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা জোর পূর্বক সাধারণ মানুষের সরকার কতৃক বন্দোবস্তের জমি দখল করে রেখেছে। এখন পর্যন্ত সেই সব জলদস্যু ও লাঠিয়াল বাহিনী সক্রিয় রয়েছে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ্যরা বলেন,বিগত সরকারের ১৭বছর ধরে তারা তাদের জমির ধারে কাছেও যেতে পারেনি। তৎকালীন সরকারের আমলে সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা স্বপন চেয়ারম্যান তার জলসদ্যু ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে গংগাপুর ইউনিয়নের সকল চর জবর দখল করে।
ঐ বাহিনীর ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত পেতো না। এমনকি প্রশাসনও ছিল নিরব ভূমিকায়। তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও চুপ করে থাকতেন। মূল কথা তোফায়েল ভাতিজা শ্বপন ছিলো ঐ এলাকার জন্য মূর্তমান আতংকের নাম।
৫ই আগষ্ট ফ্যসিষ্ট সরকারের পতনের ১৪মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকার কতৃক বন্দোবস্ত পাওয়া অসহায় মানুষ গুলো তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তেতুলিয়া নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চর লতিফে, প্রায় হাজার একর ভূমি আছে। সরকার অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে বন্দোবস্ত দিয়েছে ঠিকই কিন্তু তারা কোন সুফল ভোগ করতে পারছে না এখন পর্যন্ত।ফ্যসিষ্ট দোসর এবং স্বপন চেয়ারম্যানের বাহিনী ইব্রাহিম মাতব্বর,মহসিন ডাকাত,কবির দালাল,সেলিম ডাকাত, জাফর মাতব্বর জাহাংগীর সর্দার,আজিজল মাঝি এবং তাদের দলবল নিয়ে অসহায় মানুষের জমি দখল করে আছে।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, তারা চরে গেলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই ডাকাত বাহিনী আক্রমণ করে। তাদের ভয়ে তারা চরে যেতে পারছেনা। জমির প্রকৃত মালিকদের দাবী গত ৫ই আগষ্ট যেহেতু ফ্যসিষ্ট সরকারের পতন হয়েছে তাদের দোসরা কার মদদে এখন পর্যন্ত চর দখল করে আছে? তারা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন যে প্রকৃত মালিকরা যাতে তাদের জমি ফিরে পেতে পারে।
বন্দোবস্ত পাওয়া মোকছেদ হাওলাদার বলেন সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম এর নির্দেশে কোন বিএনপির লোক চরে যাবে না। সরকারিভাবে যাদের বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে তারই প্রকৃত মালিক এর বাইরে কেউ চরে গিয়ে জমি দখল করতে গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আনোয়ার আখন বলেন, বিগত সরকারের ১৭ বছর প্রকৃত মালিকরা চরে যেতে চাইলে স্বপন চেয়ারম্যানের বাহিনী গুম খুন করার হুমকি দেয়। এর ভয়ে তারা চরে যেতে সাহস পায়না। বর্তমান সরকারের কাছে তাদের একটাই দাবী সরেজমিনে তদন্ত করে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের বন্দোবস্ত পাওয়া জমি যাতে ফিরে পেতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করেন।
এদিকে এসব বিষয় ভোলার জেলা প্রশাসক মো: আজাদ জাহান বলেন,আমি এবিষয় ভালো করে খোজ নিচ্ছি। অসহায়দের জমি যারা দখলে নিবে তাদের কোন মতে ছাড় দেয়া হবে না বলেই পাশে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)কে নির্দেশ দেন বোরহানউদ্দিনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি খোজ নিয়ে তাকে জানাতে এবং প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহনের।
ছবির ক্যাপসন: ভোলার বোরহানউদ্দিনের চর লতিফে অসহায় মানুষের মানববন্ধন
অঞ্জন কুমার দে, বোহানউদ্দিন ভোলা) প্রতিবেদক 



















