ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

ক্যাসিনো হোতা সম্রাটকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঢাকায় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা ও যুবলীগের সাবেক নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন। ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহীম মিয়া আদালতে সম্রাটের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। অস্ত্র মামলায় এটাই সম্রাটের বিরুদ্ধে প্রথম সাজার রায়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। এ অপরাধেই তাকে এই সাজা দেওয়া হলো।

বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, পলাতক সম্রাটের এই সাজা তার গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে। এর আগে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে অস্ত্র আইনে সম্রাটের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিচার চলাকালে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এই ট্রাইব্যুনাল সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এই মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর র‍্যাব সদস্যরা কুমিল্লার ভারত সীমান্তের কাছের একটি বাড়ি থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে। ঢাকায় বিভিন্ন ক্লাবে র‍্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে সম্রাটের নাম আলোচনায় আসে। গ্রেপ্তারের পর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

সম্রাটকে এরপর ঢাকায় আনা হয় এবং র‍্যাব তার বসবাসের ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে অভিযান চালায়। র‍্যাব সম্রাটকে তার কাকরাইলের কার্যালয়েও নিয়ে যায়।

তখন র‍্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, কাকরাইলের ওই কার্যালয় থেকে দুটি নির্যাতনের যন্ত্র, পাঁচটি গুলিসহ একটি পিস্তল, দুটি ক্যাঙারুর চামড়া, ১,১৬০টি ইয়াবা বড়ি এবং ১৯ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

সে সময় র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে সম্রাটকে ছয় মাস এবং অবৈধ মদ রাখার দায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া মাদক, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মামলায় ঢাকার অন্য তিনটি আদালত আগেই সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা

ক্যাসিনো হোতা সম্রাটকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Update Time : ০৬:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকায় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা ও যুবলীগের সাবেক নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন। ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহীম মিয়া আদালতে সম্রাটের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। অস্ত্র মামলায় এটাই সম্রাটের বিরুদ্ধে প্রথম সাজার রায়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। এ অপরাধেই তাকে এই সাজা দেওয়া হলো।

বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, পলাতক সম্রাটের এই সাজা তার গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে। এর আগে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে অস্ত্র আইনে সম্রাটের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিচার চলাকালে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এই ট্রাইব্যুনাল সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এই মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর র‍্যাব সদস্যরা কুমিল্লার ভারত সীমান্তের কাছের একটি বাড়ি থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে। ঢাকায় বিভিন্ন ক্লাবে র‍্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে সম্রাটের নাম আলোচনায় আসে। গ্রেপ্তারের পর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

সম্রাটকে এরপর ঢাকায় আনা হয় এবং র‍্যাব তার বসবাসের ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে অভিযান চালায়। র‍্যাব সম্রাটকে তার কাকরাইলের কার্যালয়েও নিয়ে যায়।

তখন র‍্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, কাকরাইলের ওই কার্যালয় থেকে দুটি নির্যাতনের যন্ত্র, পাঁচটি গুলিসহ একটি পিস্তল, দুটি ক্যাঙারুর চামড়া, ১,১৬০টি ইয়াবা বড়ি এবং ১৯ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

সে সময় র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে সম্রাটকে ছয় মাস এবং অবৈধ মদ রাখার দায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া মাদক, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মামলায় ঢাকার অন্য তিনটি আদালত আগেই সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।