ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

প্রিজন ভ্যানে যে কাণ্ড করলেন ইনু

প্রিজন ভ্যানে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। পরে জেদ করে লোহার রড ধরে চলন্ত গাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনের রাস্তায় প্রিজন ভ্যানে এ ঘটনা ঘটে।

এ দিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। এজন্য হাসানুল হক ইনুকে সকাল ৯টা ১৮ মিনিটের দিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।

দুপুর ১২টার দিকে কারাগারের উদ্দেশ্য নেওয়ার জন্য হাজত খানা থেকে হাসানুল হক ইনুকে বের করা হয়। এ সময় পুলিশ তাকে তাড়াহুড়ো করে বের করতে চায়। তখন তিনি দাঁড়িয়ে যান।

পুলিশকে বলেন, ‘ধাক্কান কেন?’ তখন পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ধাক্কাচ্ছি না।’ পরে তাকে আস্তে আস্তে প্রিজন ভ্যানের দিকে নেওয়া হয়। এ সময় তার দুহাত পিছমোড়া বাঁধা ছিল।

পরে প্রিজন ভ্যানের সামনের অংশে পৌঁছে দাঁড়িয়ে থাকেন। তখন পুলিশ সদস্য বলেন, ‘বসতে হবে।’ হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ কী বলেছেন, দাঁড়িয়ে যেতে পারব না?’ এ সময় পুলিশ সদস্য বলেন, ‘হা, দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না।’ তখন ইনু বলেন, ‘আপনি অর্ডার দেখান। খামাখা সিনক্রিয়েট করছেন কেন?’ পুলিশ বলে, ‘আমাদের অর্ডার আছে।’ আবারও তিনি বলেন, ‘অর্ডার দেখান।’ পরে পুলিশ সদস্য চলে যান। পরে প্রিজন ভ্যানে লোহার রড ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় গাড়ি চলন্ত অবস্থায় ছিল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখেন হাসানুল হক ইনু।

এ বছরের ১৬ মার্চ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী মুন্সা জেবিন তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

তার চারটি ব্যাংক হিসাবে মোট ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে তিনি অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুস সংঘটনের মাধ্যমে এবং সংসদ সদস্য হিসেবে একজন পাবলিক সার্ভেন্ট ও মন্ত্রী হিসেবে সরকারের দায়িত্বশীল পদে দায়িত্বে থেকে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তার হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা

প্রিজন ভ্যানে যে কাণ্ড করলেন ইনু

Update Time : ০৭:২৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রিজন ভ্যানে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। পরে জেদ করে লোহার রড ধরে চলন্ত গাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনের রাস্তায় প্রিজন ভ্যানে এ ঘটনা ঘটে।

এ দিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। এজন্য হাসানুল হক ইনুকে সকাল ৯টা ১৮ মিনিটের দিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।

দুপুর ১২টার দিকে কারাগারের উদ্দেশ্য নেওয়ার জন্য হাজত খানা থেকে হাসানুল হক ইনুকে বের করা হয়। এ সময় পুলিশ তাকে তাড়াহুড়ো করে বের করতে চায়। তখন তিনি দাঁড়িয়ে যান।

পুলিশকে বলেন, ‘ধাক্কান কেন?’ তখন পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ধাক্কাচ্ছি না।’ পরে তাকে আস্তে আস্তে প্রিজন ভ্যানের দিকে নেওয়া হয়। এ সময় তার দুহাত পিছমোড়া বাঁধা ছিল।

পরে প্রিজন ভ্যানের সামনের অংশে পৌঁছে দাঁড়িয়ে থাকেন। তখন পুলিশ সদস্য বলেন, ‘বসতে হবে।’ হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ কী বলেছেন, দাঁড়িয়ে যেতে পারব না?’ এ সময় পুলিশ সদস্য বলেন, ‘হা, দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না।’ তখন ইনু বলেন, ‘আপনি অর্ডার দেখান। খামাখা সিনক্রিয়েট করছেন কেন?’ পুলিশ বলে, ‘আমাদের অর্ডার আছে।’ আবারও তিনি বলেন, ‘অর্ডার দেখান।’ পরে পুলিশ সদস্য চলে যান। পরে প্রিজন ভ্যানে লোহার রড ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় গাড়ি চলন্ত অবস্থায় ছিল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখেন হাসানুল হক ইনু।

এ বছরের ১৬ মার্চ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী মুন্সা জেবিন তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

তার চারটি ব্যাংক হিসাবে মোট ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে তিনি অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুস সংঘটনের মাধ্যমে এবং সংসদ সদস্য হিসেবে একজন পাবলিক সার্ভেন্ট ও মন্ত্রী হিসেবে সরকারের দায়িত্বশীল পদে দায়িত্বে থেকে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তার হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।