
পুলিশ ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা যায়, সংঘবদ্ধ ডাকাত দল রাত ২টার দিকে হিমাগারে প্রবেশ করে। এরপর কৌশলে তারা হিমাগারের নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুজন বাবুকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন। পরে ডাকাতেরা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে সিন্দুক ভেঙে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯২০ টাকা, ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।
হিমাগারের মেশিন অপারেটর মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতেরা হিমাগারের পিছনের দিক দিয়ে প্রবেশ করে মেশিন রুমে এসে আমাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে নিয়ে অফিসের দিকে যায় তারা। এসময় ডাকাতদের দিকে তাকানোর অপরাধে বেধরক মারধর করেন। এরপরেই প্রহরী সোহেল রানাকে বেঁধে ফেলে। তালা কেটে আমাদের দুজনকে অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন এবং মেশিন রুম থেকে সাবল আনতে গিয়ে সুজনকেও অফিসকক্ষ নিয়ে আসেন ডাকাতেরা। সেখানে থাকা সিন্দুক ভেঙে টাকা, টিভি, সিসিটিভির মেশিন নিয়ে চলে যায়। তাদের সবার মুখ মানকি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল।”
এ বিষয়ে এনএন হিমাগারের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, “রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে হিমাগার থেকে ফোন করে জানায় হিমাগারে ডাকাত হামলা করেছে। এমন খরব পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। সেই সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে থানার ওসি পুলিশসহ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন।”