
চুয়াডাঙ্গা জিবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য পথ্য (সরকারি বরাদ্দের খাবার) সরবরাহের দরপত্র (আইডি নং-১১৩৭০৫৯) নিয়ে গুরুতর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিজয়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনন্যা এন্টারপ্রাইজ ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ জমা দিয়ে কাজটি বাগিয়ে নিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৬ টাকার দরপত্র জমা দিয়ে কাজটির জন্য প্রথম নির্বাচিত হয়।
সোমবার(২০অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অভিযোগগুলো করেন এন এস ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী মানিক মিয়া।
দরপত্রে অংশগ্রহণকারী এন এস ট্রেডার্স-এর স্বত্বাধিকারী মোঃ মানিক মিয়া অভিযোগ করেছেন,
গত ৭ সেপ্টেম্বর জমা দেওয়া দরপত্রের মধ্যে অনন্যা এন্টারপ্রাইজ দারুল ইলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার একটি ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদপত্র দাখিল করেছে।
এ বিষয়ে দারুল ইলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ সালাউদ্দীন গত ৪ অক্টোবর জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, "মাদ্রাসার পক্ষ থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মাদ্রাসার খাবার সরবরাহের কোনো সনদ প্রদান করা হয়নি।" তিনি আরও স্পষ্ট করেছেন, মাদ্রাসায় টাকার বিনিময়ে খাবার সরবরাহের কোনো সুযোগ না থাকায় এই ধরনের সনদ প্রদান করা সম্ভব নয়।
অভিযোগকারী মানিক মিয়া জানান, ভুয়া সনদের বিষয়টি লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানোর পরেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং কয়েকদিনের মধ্যেই অনন্যা এন্টারপ্রাইজকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। তাদের দাবি, জালিয়াতির মাধ্যমে কাজ পাওয়া একদিকে যেমন আইনের লঙ্ঘন, অন্যদিকে তা রোগী সাধারণের কাছে মানসম্মত সরকারি খাবার পৌঁছানোকে অনিশ্চিত করে তুলবে।
আইন অনুযায়ী, ভুয়া সনদপত্র দাখিল করা প্রতারণামূলক কাজ। এমন ক্ষেত্রে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্তকরণ, দরপত্র বাতিল এবং প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা দায়েরের মাধ্যমে শাস্তির বিধান রয়েছে। অভিযোগকারী মোঃ মানিক মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে জালিয়াতিকারীকে শাস্তি এবং নিয়ম মেনে দরপত্র বাতিল বা পরবর্তী দরপত্রদাতাকে কাজ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।