
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ মাছঘাটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৯টি মাছের আড়ৎ পুড়ে গেছে। রবিবার (১৯ অক্টোবর) ভোররাত আনুমানিক ৪টার দিকে এ আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লাগতে পারে। খবর পেয়ে তজুমদ্দিন ও লালমোহনের ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সঠিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে হঠাৎ মাছের আড়ৎ-এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বড় ধরনের প্রাণহানি না হলেও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত আড়ৎদাররা হলেন, কামাল উদ্দিন, জুলফিকার, সিরাজ মেম্বার, মাহিউদ্দিন, জামাল, কুটি, শাজাহান, হাজী হাফেজ, ফারুক, কবির সর্দার, জাকির, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, কিরণ চেয়ারম্যান, ইসতিয়াক হাসান, বেচু তালুকদার, মন্নান, হেলাল মেম্বার, আনোয়ার ও জাকির।
তজুমদ্দিন মৎস্যঘাট আড়ৎ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন জানান, তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ মাছঘাটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৯টি মাছের আড়ৎ পুড়ে গেছে। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে আগুনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তজুমদ্দিন ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো: মুখলেসুর রহমান বলেন, ভোর রাত ৫টা ৮ মিনিটে আমরা খবর পাই উপজেলার স্লুইসগেট মাছ ঘাটে আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিক আমরা ১টি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে লালমোহন থেকেও আরো ১টি ইউনিট এসে আমাদের সাথে যোগ দেয়। তখন ২টি ইউনিটের সমন্বয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর শুনে সকালে উপজেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম মোস্তফা মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ওমর আসাদ রিন্টু ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের দেখতে যান।
ভোলা প্রতিবেদক 



















