কিছু রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐক্যের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগিরক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার ১৭ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে নেভি কলোনিতে ‘জাতীয় শ্রমিক শক্তি’ নামে এনসিপির অঙ্গ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ বলেন, বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার যে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থান ছিল, সেখানে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন শ্রমিকরা। ন্যায্য মজুরির জন্য চব্বিশের শুরুর দিকেও আন্দোলনে নামতে হয়েছিল তাদের। পুলিশের গুলিতে শ্রমিক মারা গিয়েছিলেন। সে সময় শ্রমিকের অধিকার ছিল না।
তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বেশি যে কথা শুনতে পাই, তা হলো জাতীয় ঐক্য। দেশের মানুষ মনে করে কয়েকটি রাজনৈতিক দল এক টেবিলে বসলেই জাতীয় ঐক্য হয়ে যায়। আজকেও জুলাই সনদ নামে একটা সনদে কিছু রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে স্বাক্ষর করবে। এর নাম দিতে চায় জাতীয় ঐক্য। আমরা মনে করি, এটা কোনো জাতীয় ঐক্য নয়। ঐক্য হচ্ছে এখানে, যেখানে ছাত্র-শ্রমিকসহ নানান পেশার মানুষ একত্র হয়েছে।
নাহিদ বলেন, জাতীয় ঐক্য তখন হয়, যখন সমাজের সব অংশের মানুষ দেশপ্রেমের ভিত্তিতে এক হয়ে লড়াই করে। যেটা আমরা দেখেছিলাম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে। সেসময় কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানার দেখিনি। শুধু দেখেছিলাম ছাত্র-শ্রমিক এবং নানান পেশাজীবী। আমরা সেই জাতীয় ঐক্যের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে ছাত্র শ্রমিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করবে লড়াই করবে।
সংস্কার কমিশন নিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অনেকগুলো কমিশন গঠতি হয়েছে। কিন্তু শ্রম কমিশন নিয়ে কোনো আলোচনা দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য কমিশন নিয়েও কোনো আলাপ নেই। মানুষের জীবনের সঙ্গে যে গণসেবামূলক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জড়িত তার সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। শুধু নির্বাচন কেন্দ্রিক ছয়টি সংস্কার কমিশন নিয়ে ঐকমত্য কমিশন গঠন হয়েছে। সেখানেও গণতন্ত্রের জন্য ভালোকিছু দেখতে পারছি না।