
রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির ছয় ইউনিয়নের কমিটি নিয়ে দলীয় বিরোধ দেখা দিয়েছে। জেলা আহ্বায়কের স্থগিতাদেশ অগ্রাহ্য করে জেলা সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার কমিটিগুলো বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবু সাইদ চাঁদের স্বাক্ষরিত এক পত্রে দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া, কিসমত গণকৈড়, পানানগর, দেলুয়াবাড়ী, ঝালুকা ও জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম–এর নির্দেশক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে মাত্র এক সপ্তাহ পর, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার স্বাক্ষরিত আরেক চিঠিতে উল্টো নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওই পত্রে বলা হয়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও বিভাগীয় সমন্বয়ক আব্দুস সালাম–এর পরামর্শে জানানো যাচ্ছে যে, ঘোষিত ইউনিয়ন কমিটিগুলো বহাল থাকবে এবং যথারীতি সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ৭ মে ২০২৫ তারিখে বিভাগীয় সমন্বয়কের নির্দেশে জেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ তিন সদস্যকে দুর্গাপুর উপজেলার ইউনিয়ন কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা উপজেলা আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান আয়নাল ও সদস্য সচিব মো. জোবায়েদ হোসেন–এর সহায়তায় ২৮ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন সম্মেলনের মাধ্যমে ছয়টি ইউনিয়নের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন।
সদস্য সচিবের চিঠিতে বলা হয়, “কমিটিগুলো সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গঠিত হয়েছে। জেলা আহ্বায়কের স্থগিতাদেশ বিধিসম্মত নয়।”এছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রণয়নের নির্দেশও দেওয়া হয় উপজেলা নেতাদের।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার। তিনি বলেন, “বিভাগীয় সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ঘোষিত কমিটিগুলো বহাল রয়েছে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সাংগঠনিক কার্যক্রম যথারীতি চলবে।”
অন্যদিকে জেলা আহ্বায়ক মো. আবু সাইদ চাঁদের মন্তব্য জানতে একাধিকবার কল করাহলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা বিএনপির দুই ভিন্ন পত্রে বিপরীত সিদ্ধান্তে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
দুর্গাপুর প্রতিবেদক: 



















