পাবনার ঈশ্বরদীতে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে এক স্কুল ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে বলৎকারকারিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। । এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত এজাহার দাখিলে পর থেকে অভিযুক্ত অটোরিকশা চালক আব্দুর রহিম পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত অটো রিক্সাচালোক আব্দুর রহিম উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বরইচড়া একই গ্রামের প্রতিবেশী।
বলাৎকারকরী অটোচালক আব্দুর রহিমকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বড়ইচারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রশাসনের কাছে সমাজ থেকে এ ধরনের নোংরামো বন্ধের জোর দাবি জানাই। একই সাথে আমরা আব্দুর রহিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক তারানা আফরোজ, মোছাম: সানজিদা খাতুন, মোঃ আব্দুর রকিব, নাহার আক্তার, মো: জসিম উদ্দিন, এলাকাবাসী মনজুর, আলম ফকির, মিনারুল বিশ্বাস, শাহিন হোসেন, খাইরুল ইসলাম, শহিদুল ফকির, রেজাউল সরদার, রেহানা খাতুন ,নিঝুম বেগম, আব্দুল কুদ্দুস,আলম ফকির এবং ওই ছেলের মা রহিমা খাতুন।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচরা স্কুলপাড়া গ্রামে নির্জন একটি লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে একই গ্রামের আব্দুর রহিম (৫৫) নামে এক অটোচালককে এজাহারে আসামি করা হয়েছে।
৪৪ নং বড়ইচারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানা বলেন, সমাজে এ ধরনের হীনমনের মানুষ অনেক রয়েছে। এদের দ্বারা সমাজে ঘৃণিত কাজ হয়ে থাকে। এ ধরনের ঘটনার পর থেকে শিশুরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। কারও সঙ্গে খুব একটা কথা বলেনা, বাড়ির বাইরে খেলতেও যায় না। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
অভিযুক্ত অটোরিক্সা চালক আব্দুর রহিম পালাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ স ম আব্দুর নূর জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্তের জন্য একজন পুলিশ অফিসারকে নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরপরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম পলাতক আছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।