ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত Logo তানোরে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মৌন মিছিল ও স্মারকলিপি হস্তান্তর Logo সৈয়দপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদের মতবিনিময় সভা Logo মোবাইল-ই কাল হলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যামির, শিক্ষকের শাসন -অতঃপর বিষপানের মৃত্যু Logo রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে ২ বাসে আগুন Logo রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা

মান্দায় এএসআই রবিউলের অপসারণ দাবি: নেপথ্যে ‘স্বার্থের সংঘাত’,,

নওগাঁর মান্দায় কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবুর করা অভিযোগের পর এবার এএসআই রবিউল ইসলামের পক্ষে উঠে এলো অন্যরকম যুক্তি। স্থানীয় সচেতন মহল ও পুলিশের দায়িত্বশীল একটি অংশের মতে, মান্দা থানার এএসআই রবিউলের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক আনীত ‘মাদক কারবারীদের সঙ্গে যোগসাজশ’, ‘গ্রেপ্তার বাণিজ্য’ ও ‘অর্থ আত্মসাতের’ মতো গুরুতর অভিযোগগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।
এলাকাবাসীর অনেকেই বলছেন, এএসআই রবিউল সম্প্রতি কালিকাপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যথেষ্ট কঠোরতা অবলম্বন করেছেন। স্থানীয় মাদক কারবারি ও অবৈধ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানই হয়তো চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক ‘স্বার্থে’ আঘাত হেনেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজনদের কেউ কেউ হয়তো এএসআই রবিউলের আইনগত কঠোরতার শিকার হয়েছেন। তারই ফলশ্রুতিতে, পুলিশ কর্মকর্তার ওপর চাপ সৃষ্টি এবং তাকে এলাকা থেকে অপসারণের উদ্দেশ্যেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এএসআই রবিউলকে তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্য জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে চাপ ও হুমকি শুনতে হয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু সংবাদ সম্মেলনে এএসআই রবিউলকে অবিলম্বে অপসারণ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানালেও, এই ঘটনার মধ্য দিয়ে পুলিশের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনে জনপ্রতিনিধির প্রভাব খাটানোর চেষ্টার একটি চিত্র সামনে আসছে।
মান্দা থানা পুলিশ বা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে দ্রুত একটি নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগের সত্যতা এবং এর নেপথ্যের প্রকৃত কারণ উন্মোচিত হবে। জনপ্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে এই ‘স্বার্থের সংঘাতের’ জল্পনা এখন স্থানীয়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দপুরে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস পালিত

মান্দায় এএসআই রবিউলের অপসারণ দাবি: নেপথ্যে ‘স্বার্থের সংঘাত’,,

Update Time : ০৫:৪২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
নওগাঁর মান্দায় কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবুর করা অভিযোগের পর এবার এএসআই রবিউল ইসলামের পক্ষে উঠে এলো অন্যরকম যুক্তি। স্থানীয় সচেতন মহল ও পুলিশের দায়িত্বশীল একটি অংশের মতে, মান্দা থানার এএসআই রবিউলের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক আনীত ‘মাদক কারবারীদের সঙ্গে যোগসাজশ’, ‘গ্রেপ্তার বাণিজ্য’ ও ‘অর্থ আত্মসাতের’ মতো গুরুতর অভিযোগগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।
এলাকাবাসীর অনেকেই বলছেন, এএসআই রবিউল সম্প্রতি কালিকাপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যথেষ্ট কঠোরতা অবলম্বন করেছেন। স্থানীয় মাদক কারবারি ও অবৈধ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানই হয়তো চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক ‘স্বার্থে’ আঘাত হেনেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজনদের কেউ কেউ হয়তো এএসআই রবিউলের আইনগত কঠোরতার শিকার হয়েছেন। তারই ফলশ্রুতিতে, পুলিশ কর্মকর্তার ওপর চাপ সৃষ্টি এবং তাকে এলাকা থেকে অপসারণের উদ্দেশ্যেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এএসআই রবিউলকে তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্য জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে চাপ ও হুমকি শুনতে হয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু সংবাদ সম্মেলনে এএসআই রবিউলকে অবিলম্বে অপসারণ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানালেও, এই ঘটনার মধ্য দিয়ে পুলিশের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনে জনপ্রতিনিধির প্রভাব খাটানোর চেষ্টার একটি চিত্র সামনে আসছে।
মান্দা থানা পুলিশ বা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে দ্রুত একটি নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগের সত্যতা এবং এর নেপথ্যের প্রকৃত কারণ উন্মোচিত হবে। জনপ্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে এই ‘স্বার্থের সংঘাতের’ জল্পনা এখন স্থানীয়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রে।