ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রভাবশালী নেতা ওসামা হামাদান বলেছেন, আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে গাজায় ৪৮ জন ইহুদিবাদী বন্দির মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এদের কেউ কেউ এরিমধ্যে নিহত হয়েছে।
তিনি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া সোমবার সকালে শুরু হবে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের চুক্তির ধারা অনুযায়ী গাজা থেকে ইহুদিবাদী বন্দিরা ফেরত যাওয়ার পর ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
একই সময়ে হামাসের আরেক নেতা হুসাম বাদরান শনিবার ঘোষণা করেছেন, যদি ইসরায়েল আবার গাজায় হামলা শুরু করে, তবে হামাসও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা সম্ভবত আরও জটিল হবে।
বাদরান ফরাসি বার্তা সংস্থাকে বলেন, “কোনও বিশ্লেষকই ধারণা করেনি যে এই যুদ্ধ দুই বছর ধরে চলবে, কিন্তু প্রতিরোধ সংগঠনগুলো পুরো সময় লড়াই করেছে এবং দখলদার সেনাবাহিনীকে বারবার আঘাত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করি আর সেই অবস্থায় ফিরে যেতে হবে না, কিন্তু যদি শত্রু আবার আক্রমণ শুরু করে, তাহলে হামাসও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং তার সব শক্তি প্রয়োগ করবে।”
বাদরান অস্ত্র সংরক্ষণ করা সম্পর্কে বলেন, “হামাস কখনও তার অস্ত্র ত্যাগ করবে না। যে জাতি দখলদারদের মাধ্যমে নিষ্পেষিত সেই জাতির জন্য প্রতিরোধ ও অস্ত্র ধারণ করা একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়।”
দ্বিতীয় দফার আলোচনা সম্পর্কে বাদরান বলেন, “এই ধাপটি প্রথম ধাপের মতো সহজ হবে না। এই অংশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার কিছু জটিল বিষয় রয়েছে, যেগুলোর সমাধানে আরও সময় লাগবে। তবে সব কিছুর আগে একটি জাতীয় ও সর্বসম্মত ফিলিস্তিনি সংলাপ অপরিহার্য।”
তিনি বলেন, হামাস সরাসরি নয় বরং পরোক্ষভাবে আলোচনায় অংশ নেবে। তিনি বলেন, শারমুশ শেইখে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়ায় হামাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন না; সেখানে কেবল মধ্যস্থতাকারী, মার্কিনী ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারাই অংশ নেবেন।