
পাবনার ঈশ্বরদীতে মহিষ পালনে পুষ্টি, প্রজনন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক তিন দিনব্যাপী খামারী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আজ শনিবার (১১ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রি:) সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে নির্বাচিত ৫০ জন মহিষ খামারী প্রশিক্ষণ পাবনার ঈশ্বরদীতে শুরু হয়েছে। ৩ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আশাদুল আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ খায়রুল বাশার, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিএলআরআই, সাভার, ঢাকা। উক্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছাঃ আকলিমা খাতুন। ৫০ জন সুফল ভোগী মহিষ খামারী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. মোঃ আশাদুল আলম মহিষ উন্নয়নের জন্য বিএলআরআই এর গবেষণা কার্যক্রম এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্পর্কে খামারীদের অবহিত করেন এবং বিজ্ঞানভিত্তিক মহিষ পালনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ অতিথি ড.
মোহাম্মদ ফায়রুল বাশার বলেন, মহিষ পালনে উন্নত জাতের ফডার চাষের বিকল্প নেই। সভাপতি ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছাঃ আকলিমা খাতুন মহিষ খামারীদের যেকোন কারিগরি সমস্যায় পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঈশ্বরদী উপজেলার মহিষ খামারীগণ লাভজনক পদ্ধতিতে মহিষ লালন পালন, মহিষের জাত সনাক্তকরণ, মহিষের প্রজনন ব্যবস্থাপনা, স্বল্প খরচে দুধালো মহিষের খাদ্য ব্যাবস্থাপনা, হাতে কলমে সাইলেজ, হে এবং ইউএমএস প্রযুক্তির ব্যবহার, গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী মহিষের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা, মহিষের রোগ প্রতিরোধে করণীয়, টিকা প্রদান ও কৃমিমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা ও নিয়মাবলী, কৃমি প্রতিরোধে করনীয় সম্পর্কে ধারনা লাভ করবেন।
বাংলাদেশে প্রাপ্ত মহিষের জাতসমূহ, দুধালো গাভী মহিষ, আদর্শ প্রজনন উপযোগি ষাঁড় মহিষ নির্বাচন সম্পর্কেও খামারীরা সুনিপুণ ধারণা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার কোর্স কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে আছেন মহিষ উৎপাদন ও গবেষণা বিভাগ, বিএলআরআই, সাভার, ঢাকার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মানিক মিয়া।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর মোল্লার চর ও চরজাজিরা মৌজার চরে
এবং লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর ডিগ্রীর চর ও ভবানীপুরের চরে এবং মুলাডুলি ইউনিয়নের কয়েকটি বসত বাড়িতে ছোট বড় খামার করে উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৫০০ টি মহিষ লালন পালন করছেন এখানকার খামারিরা। মহিষের খামার গুলো পদ্মার চরের বিস্তীর্ণ সবুজ তৃণভূমিতে মহিষ পালন করে খামার মালিকরা এখন স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
আলমাস আলী, ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক : 



















